এম এ আজিজ স্টেডিয়াম নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৪ | আপডেট: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছে বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী এসেছে চট্টগ্রামের এক সমাবেশ থেকে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর কাজির দেউড়ির এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এ হুঁশিয়ারী দেওয়া হয়। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকে ২৫ বছরের জন্য বাফুফেকে লিজ দেওয়া ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে ‘চট্টগ্রাম স্টেডিয়াম রক্ষা কমিটি’ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে নগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নিকট ২৫ বছরের জন্য লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের সকল ক্লাব ও ক্রীড়ামোদী জনগণ হতবাক হয়েছে। এ স্টেডিয়ামের সঙ্গে চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের সম্পর্ক। ষ্টেডিয়াম বরাদ্দের ঘোষণার পর থেকে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ ক্ষোভে ফুসে ওঠেছে। ক্রীড়া সংগঠকদের সঙ্গে আলোচনা না করে ঐতিহ্যবাহী এ স্টেডিয়ামকে বরাদ্দ দেওয়া চট্টগ্রামবাসী কোনদিন মেনে নেবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবিলম্বে এ চুক্তি বাতিল করতে হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেন। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের চুক্তি বাতিল না করলে চট্টগ্রামবাসীকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত নয় এমন ব্যক্তিদের নিয়ে সিজেকেএসের যে এডহক কমিটি করা হয়েছে তা বাতিল করা হোক।’
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে খেলাধুলা বন্ধ হলে সাত হাজারের অধিক পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়ে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে খেলাধুলা বন্ধ হলে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন খেলার খেলোয়াড়, কোচ, কোচিং স্টাফসহ প্রায় সাত হাজারের অধিক পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাফুফেকে মাঠটি বরাদ্দ দিলে ফুটবল ছাড়া অন্যান্য ৩০টি খেলার স্থানীয় টুর্নামেন্ট এবং এসব ইভেন্টের অনুশীলন কর্মকান্ডও বন্ধ হয়ে যাবে।’
‘অন্যদিকে যুব সমাজ মাদকাসক্তসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত হওয়ার আশংকা রয়েছে। আমরা বলতে চাই, চট্টগ্রামের বৃহত্তর স্বার্থে এ মাঠটি শুধুমাত্র চট্টগ্রামের খেলোয়াড়দের জন্যই ব্যবহার করা হবে।’
সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, ‘এম এ আজিজ স্টেডিয়ামটি বহুমাত্রিক ক্রীড়া কর্মকান্ডে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ মাঠ থেকেই জাতীয় পর্যায়ের ফুটবলারসহ অন্যান্য খেলোয়াড় সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র একটি খেলাকে প্রাধান্য দিয়ে বাফুফেকে ২৫ বছরের জন্য স্টেডিয়ামটি বরাদ্দের সিদ্ধান্ত চট্টগ্রামের জনগণের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।’
ক্রীড়া সংগঠক মাহবুব আলমের সভাপতিত্বে ও মো. কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার ইয়াসিন আলী রাব্বি, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মো. খান, মশিউল আলম স্বপন, এম এইচ স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী, সাবেক ফুটবলার হাফিজুর রহমান, ফ্রেন্ডস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ আবুল বশর, বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মো. আলমগীর, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, বাকলিয়া একাদশের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শতদল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর, নওজোয়ান ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল, নবীন মেলার সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার শহীদুর রহমান ও হকি কোচ মহসিন চৌধুরী।
সারাবাংলা/আইসি/এমপি