স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনে যেসব প্রস্তাব জাতীয় নাগরিক কমিটির
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১৬
ঢাকা: স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনে ‘সংস্কার প্রস্তাব’ পেশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারার নেতৃত্বে সংস্কার প্রস্তাব পেশ করা হয়।
সংস্কার প্রস্তাব হস্তান্তর শেষে ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘দ্রুততম সময়ে সেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসা ব্যবস্থার গঠন নিয়ে আমরা প্রপোজাল দিয়েছি। আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে কার পকেটে কত টাকা আছে চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেন বাধা না হয়। রোগীর রোগ অনুযায়ী সে চিকিৎসা পাবেন। তার পকেটের টাকা আছে কিনা, সে কৃষক নাকি মন্ত্রী তা দেখা হবে না।’
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার প্রস্তাবনায় সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-
১. জরুরি স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা চালু।
২. একটি কার্যকর রেফারেল ব্যবস্থা চালু করা, যাতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক হাসপাতালগুলোকে শক্তিশালী করা হয় এবং রোগীদের সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়।
৩. স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ ও ন্যায্য পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করা।
৪. সারা দেশে ডিজিটাল স্বাস্থ্যব্যবস্থা চালু করা।
৫. বাংলাদেশে চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনো নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই, ফলে একজন রোগী একই রোগের জন্য দুই জায়গায় দুই ধরনের চিকিৎসা পান। এই সমস্যার সমাধানে একটি জাতীয় চিকিৎসা গাইডলাইন চালু করা, যাতে দেশের সব চিকিৎসক একটি নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করেন।
৬. একটি জাতীয় বায়ো ব্যাংক স্থাপন হলে ক্যানসার, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও সংক্রামক রোগের গবেষণা সহজ হবে, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত চিকিৎসা নিয়ে আসবে। এতে বাংলাদেশ বিদেশের ওপর নির্ভর না করে নিজের চিকিৎসা গবেষণা এগিয়ে নিতে পারবে।
৭. সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত, নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল স্বাস্থ্য প্ল্যাটফর্ম চালু করতে সুপারিশ করা হয়েছে। এখানে সহজ ভাষায় বিজ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্য তথ্য ও চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হবে। যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন এবং কোন চিকিৎসা বিজ্ঞানসম্মত ও নিরাপদ।
সারাবাংলা/এমএইচ/এইচআই
জাতীয় নাগরিক কমিটি ডা. তাসনিম জারা স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন