নিজেরা বিভক্ত হলে স্বৈরাতন্ত্র শক্তিশালী হবে: দুদু
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫০ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩০
ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, নিজেরা বিভক্ত হলে স্বৈরতন্ত্র শক্তিশালী হবে। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে দেশের জনগণ, গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের প্রিয় সঙ্গী যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যারা লুটপাট গুম, খুন, হত্যা করেছে তাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ। সেই হিসাবে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। এবং ৫ আগস্ট-এর যে ঐক্য, সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারকে একটি কাজ করতে হবে, মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার দিতে হবে। মানুষের নিরাপত্তার দিকে নজর দিতে হবে। মানুষের যে স্বস্তিহীন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে । সেই স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। এর বাইরে হাসিনা অনুচররা যেসব জায়গায় এখনো রয়ে গেছে, সেসব জায়গায় দ্রুতগতিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনগণ যতই সজাগ থাক, সরকার যদি সজাগ না হয় তাহলে ফ্যাসিবাদের দোসোরদের শক্তি বাড়বে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিবে। সেই ধ্বংসের হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে জাতীয় ঐক্য আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ও তার দল যদি মনে করে যে, বাংলাদেশের মানুষ তাদের আবার গ্রহণ করবে তাহলে তারা বড় ভুল করবে। কারণ বাংলাদেশে সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাট গুম, খুন, অন্যায়, অবিচার শেখ হাসিনা করেছে; এর আগে কেউ এমন করেনি। বাংলাদেশের গণহত্যাকারী হচ্ছে শেখ হাসিনা। তার পিতাও গণহত্যা চালিয়েছিল বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে। এই পরিবারটি আগাগোড়া স্বৈরতন্ত্রের অনুসরণ করেছে। এই দেশ স্বাধীনতার পর করে যে পরিস্থিতি ছিল গত ১৫-১৬ বছরও একই পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু এই দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের স্বৈরতন্ত্রের কাছে কখনো মাথা নত করেনি।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, এদেশের মানুষ অত্যাচারিত হয়েছে, গুম হয়েছে, খুন হয়েছে, জেল জুলুম শিকার হয়েছে, তারপরও কখনো স্বৈরাচারীর কাছে মাথা নত করেনি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছে।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, কৃষক দল নেতা এসকে সাদি, মুক্তার আখন্দসহ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এফএন/ইআ