Thursday 18 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় মাতলো খুলনা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৮ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৮

রূপসা নদীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। ছবি: সারাবাংলা

খুলনা: বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দে ও মাঝি-মাল্লার গানের তালে তালে খুলনার রূপসা নদীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌকাবাইচ দেখতে নদীর দুই পাড়ে লাখো মানুষের ঢল নামে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা রূপসা নদীর এক নম্বর কাস্টমস ঘাট থেকে শুরু হয়ে খান জাহান আলী সেতুতে (রূপসা সেতু) শেষ হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নৌকাবাইচের দশটি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেই।

খুলনা শহর ছাড়াও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ দেখতে আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ছুটে আসেন। কেউ বসে ছিলেন নদীর পাড়ে, কেউ আশপাশের বাড়ির ছাদে। অনেকে উঠে পড়েন গাছের ডালে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রলার ভাড়া করে অনেকেই নৌকাবাইচ উপভোগ করেন। রূপসার দুই পাড়ের মানুষ বাঙালির প্রাণের এ উৎসবে মেতে ওঠেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিযোগিতিায় প্রথম স্থান অর্জনকারী দলকে ৭৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ৫০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়। এর আগে নৌকা বাইচ উপলক্ষ্যে সকাল ১১ টায় একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক থেকে শুরু হয়ে এক নম্বর কাস্টমস ঘাটে গিয়ে এসে শেষ হয়।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রতিযোগিতার সময় ডুবুরি দল ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রস্তুত ছিল। এ ছাড়া নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশকে টহল দিতে দেখা গেছে।

খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া এলাকার বাসিন্দা সামছুল আলম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে নৌকাবাইচ আমার খুব প্রিয়। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে এসেছি আনন্দ করার জন্য। নৌকাবাইচ দেখতে এসে আমরা সবাই খুশি।’

দিঘলিয়া উপজেলা থেকে নৌকাবাইচ দেখতে আসা কলেজ ছাত্রী সাদিয়া খাতুন বলেন, ‘নৌকাবাইচ দেখতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’

ফরিদপুর বোয়ালমারী থেকে আসা তুফান নামের নৌকাবাইচের প্রতিযোগি বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, ‘নৌকাবাইচে অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আগামীতে এই নদীতে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হলে আমরা আবারো আংশগ্রহণ করব।’

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেন, ‘নৌকাবাইচ আবহমান বাংলার একটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। তরুণ প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রেখে উৎপাদনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত রাখতে এবং খুলনাবাসীকে নির্মল বিনোদন উপভোগের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।’

সারাবাংলা/এইচআই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর