‘১৮ বছরের সব হত্যাকাণ্ডের দায় শেখ হাসিনার’
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫৪ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: গত ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশে যত খুন হয়েছে সব হত্যাকাণ্ডের জন্য ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামী, চট্টগ্রাম মহানগরের আমির শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘কোটা বিরোধী আন্দোলন ও গত ১৮ বছরে যত হত্যা হয়েছে এসব হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী হচ্ছে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ।’
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তথ্য সম্বলিত ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার শহীদ যারা’ শীর্ষক স্মারক উম্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নগর জামায়াতে ইসলামী। ১০ খণ্ডে সংকলিত ২ হাজার ৫০০ পৃষ্ঠার এ স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান।
দুর্নীতি ও প্রশাসনে দলীয়করণের কারণে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উল্লেখ করে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, প্রশাসনে মেধাশূন্যতা ও দলীয়করণের কারণে বাংলাদেশ আজ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিশেষ করে হত্যা, গুম, নির্যাতন, আয়নাঘর এগুলোর মাধ্যমে আজ বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য এক নম্বর দায়ী আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা। এ দেশে বিশৃঙ্খলা , নিপীড়ন, জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করা সবকিছুর ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি দায়ী।’
‘তাই সাধারন নির্বাচনের আগে এ সমস্ত ফ্যাসিস্ট যারা রয়েছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, এসবের ফয়সালা করার জন্যে বিশেষভাবে উদ্যেগ নেওয়া উচিত। জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশে বিশেষ করে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদের বিচারের আওতায় এনে বিচার করা অত্যন্ত জরুরি।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের বাইরে থাকা প্রবাসীদের ভূমিকা তুলে ধরে জামায়াতের এ নেতা বলেন, ‘প্রবাসী ভাইয়েরা আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। বিশেষ করে আরব আমিরাত, কুয়েত, সৌদি আরব, আমেরিকা, ইউরোপসহ সব জায়গায় প্রবাসীরা আমাদের আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। আরব আমিরাতে মিছিল করতে গিয়ে ১২৫ জনের মতো প্রবাসী ভাই গ্রেফতার হয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের কূটনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যেমে এ প্রবাসী ভাইদের আমরা দেশে ফিরিয়ে আনতে ফেরেছি। তাদেরকে মুক্ত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই এখানে এসেছেন। তারা আজ নিঃস্ব। তাদের অনেকেই দোকানপাট, ব্যবসা, চাকরি ছেড়ে চলে এসেছেন। আমরা উপদেষ্টাদের এসব জানিয়েছি। তারাও এটা নিয়ে কাজ করছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র যারা ছিলেন, আপনাদের নতুন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাতি স্মরণ করবে। আপনারা আগামীতেও জাতির যে কোনো সংকটে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন সে আশা রাখছি।’
সারাবাংলা/আইসি/এসডব্লিউ