‘গত কয়েক মাসে নারী নির্যাতনের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে’
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৪ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৫
ঢাকা: সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের নেত্রীরা বলেছেন, ‘গত কয়েকমাসে নারী নির্যাতনের হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। একের পর এক ভয়াবহ ঘটনা সামনে আসছে। সাম্প্রতিক এই ঘটনা আরও ভয়াবহতা তৈরি করেছে। একজন স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করে মেরে ফেলে লাশ হাতিরঝিলে নিয়ে ফেলে দিল। লাশ খুঁজে বের করতে ১৯ দিন লাগল। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবস্থা হলে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে কিভাবে?’
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিলরুবা নূরী এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘একটি রাষ্ট্র কতখানি গণতান্ত্রিক ও সভ্য তার অন্যতম মাপকাঠি হলো ‘নারীর প্রতি ঐ রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন’। আমরা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরকার পরিবর্তন করতে পারলেও নারীর প্রতি মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে পারিনি। যা গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। নারী প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা বন্ধে ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
এছাড়াও ঢাকায় স্কুল ছাত্রীকে হাত পা বেঁধে, মুখে কাপড় গুঁজে পাঁচ জন মিলে ধর্ষণ, নৃশংসভাবে হত্যা এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে হাতিরঝিলে ফেলে দেওয়ার ঘটনার বিচার দাবি করেন।
বিবৃতিতে বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১৬ জানুয়ারি রাজধানীর দক্ষিণখানে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজ হন। ১৯ জানুয়ারি তার বাবা থানায় জিডি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ তারিখে একটি মামলা করেন তিনি। এরপর ৩০ জানুয়ারি রবিন নামের এক যুবককে এবং পরে রাব্বি মৃধা নামের আরও এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রবিন স্বীকার করে, কিশোরীটিকে ‘ফাঁদে ফেলে’ সেদিন দুপুরে মহাখালীর একটি বাসায় নিয়ে যান তারা। এরপর তার হাত–পা বেঁধে ফেলেন। মুখে গুঁজে দেন কাপড়। তারপর পাঁচজন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। এক পর্যায়ে কিশোরীটি অচেতন হয়ে পড়ে। পরে সে মারা গেলে লাশ গুম করার পরিকল্পনা করা হয়। এরপর মরদেহ বস্তাবন্দী করা হয়। মধ্যরাতেই মহাখালী থেকে রিকশায় করে মরদেহ হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজার সামনের সেতুতে নিয়ে এসে ফেলে দেওয়া হয়।
ধর্ষক এবং হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করার আহ্বানও জানান তারা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসডব্লিউ