Thursday 06 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যেভাবে ফাইনালে উঠল চিটাগং কিংস

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৩

খুলনাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার পর চিটাগং কিংসের সেলফি

১২ বছর পর বিপিএলে ফিরেছে চিটাগং কিংস। সর্বশেষ ২০১৩ সালের বিপিএলে চট্টগ্রাম বিভাগের এই দলটাকে দেখা গিয়েছিল বিপিএলের মঞ্চে। সেবার অবশ্য ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে হেরে ভাগ্যের শিকে ছেড়েনি তাদের। রানার আপ হয়েই বিপিএল থেকে লম্বা সময়ের জন্য বাইরে চলে যায় দলটা। পরবর্তীতে ভিন্ন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অধীনে ভিন্ন নামে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করেছে দুটি দল; চিটাগং ভাইকিংস ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স নামে। এবার সেই এক যুগ পুরনো মালিকপক্ষের অধীনেই বিপিএলে ফিরল চিটাগং কিংস। আর প্রত্যাবর্তনটাও হলো কী দুর্দান্ত! গ্রুপ পর্ব, প্লে অফ পেরিয়ে একেবারে ফাইনাল। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়েছে রোমাঞ্চকর এক শেষ ওভারে।

বিজ্ঞাপন

অবশ্য স্কোয়াডের নানান সীমাবদ্ধতাও ছিল আসরজুড়ে। মাঠের বাইরের নানান ইস্যুতেও মালিকপক্ষ পড়েছে সমর্থকদের রোষানলে। পারভেজ হোসেন ইমন অভিযোগ করেন পারিশ্রমিক না পাওয়ার। দলটির মালিক সামির কাদের চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার টাকা গাছে ধরে না।’ এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য ভালোভাবে নেয়নি বিসিবি। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন চিটাগং কিংসের মালিক।

এর আগে সরাসরি চুক্তিতে সাকিব আল হাসান, মঈন আলীদের দলে টেনেছিল তারা। ড্রাফট থেকে নিয়েছিল শ্রীলংকান অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেল্প ম্যাথিউজেরও। অবশ্য রাজনৈতিক জটিলতায় সাকিব দেশে না ফেরায় তাকে ছাড়াই শুরু হয় চিটাগংয়ের বিপিএল যাত্রা। এর সাথে বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়াতে সাকিবকে খেলতে হতো শুধু ব্যাটার হিসেবেই। ওদিকে মঈনও আসেননি শেষ পর্যন্ত, অনাপত্তিপত্র জটিলতায় খেলা হয়নি ম্যাথিউজের। তবে আরেক লংকান পেসার বিনুরা ফার্নান্দো এবার হয়ে উঠেছেন কিংসের পেস আক্রমণের মূল অস্ত্র।

যদিও পাকিস্তানের উসমান খান, হায়দার আলী, মোহাম্মদ ওয়াসিমরা খেলে গেছেন এবার। বিদেশি কোটায় গ্রাহাম ক্লার্কও বেশ ভরসা জুগিয়েছেন দলকে। দেশি তারকাদের মধ্যে পারভেজ হোসেন ইমন, শামীম পাটোয়ারি, শরীফুল ইসলাম, আলিস আল ইসলামের মতো তরুণদের সাথে আরাফাত সানি, মোহাম্মদ মিঠুনের অভিজ্ঞতাও রেখেছে দারুণ ভূমিকা।

তবে সাকিব না থাকায় বেশ ভুগেছে চিটাগং। আদর্শ কম্বিনেশনটাও খুঁজে বের করতে পারেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রতিটি ম্যাচই তারা খেলেছে মাত্র ছয় ব্যাটার নিয়ে। শেষ পাঁচ ব্যাটারের সবাই বোলার। এই সীমাবদ্ধতা বেশিরভাগ ম্যাচেই শামীমের ব্যাটে চড়ে উতরে গেছে তারা। ধারাবাহিক না হলেও হায়দার আলীও ঝলক দেখিয়েছেন শেষ দিকে। পাওয়ারপ্লে আর ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বাঁহাতি পেসার বিনুরা। শুরুর দিকে একটু নিষ্প্রভ থাকলেও শেষে এসে ছন্দে ফিরেছেন শরীফুল ইসলাম। পেসার খালেদ আহমেদের আছে ২০ উইকেট। আলিসের সাথে সানির স্পিন জাদুতেও শুরুর দিকে ম্যাচ জিতেছে চিটাগং। মাঝেমধ্যে নাঈম ইসলামের বুড়ো হাড়ের ভেলকি, অধিনায়ক মিঠুনের ক্যামিওতেও ঝলক দেখিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সেরা কম্বিনেশন খুঁজে না পাওয়ার সীমাবদ্ধতা নিয়ে সে চিটাগংই উঠল ফাইনালে। ফাইনাল পর্যন্ত কেমন ছিল তাদের যাত্রাটা? দেখে নিন এক নজরে-

রোড টু ফাইনাল- চিটাগং কিংস

সারাবাংলা/জেটি

আলিস আল ইসলাম চিটাগং কিংস বিপিএল ২০২৫ মোহাম্মদ মিঠুন

বিজ্ঞাপন

ফুটবলকে বিদায় বললেন মার্সেলো
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৯

আমির হোসেন আমুর বাসভবন ভাঙচুর
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৫

আরো

সম্পর্কিত খবর