রাবির ৪ হলের নাম মুছে নতুন নাম দিল শিক্ষার্থীরা
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:২৪
ঢাকা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চারটি হল ও একটি স্কুলের নাম ফলক মুছে নতুন নামে ব্যানার টানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে কর্মসূচি শুরু করেন তারা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হলগুলোতে গিয়ে নাম ফলক ভেঙে নতুন নাম দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
নাম ফলক ভেঙে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নতুন নাম বিজয়-২৪ হল, নির্মাণাধীন শহীদ কামারুজ্জামান হলের নাম শহীদ আলী রায়হান হল, নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হলের নাম ফাতিমা আল ফিহরিয়া হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলের নাম নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল ও শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নাম রিয়া গোপ মডেল স্কুল রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা মাজার চত্বরে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। এরপর সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রথমে বঙ্গবন্ধু হলের নাম ফলক মুছে বিজয়-২৪ হল ক্রমে ক্রমেু নির্মাণাধীন শহীদ কামারুজ্জামান হলের নাম মুছে শহীদ আলী রায়হান হল, নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা হলের নাম মুছে ফাতিমা আল ফিহরিয়া হল এবং বঙ্গমাতা শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন করে নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শেখ ফজিলাতুন্নেসা আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে উত্তেজনা বিরাজ করে। আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ঢিল ছুড়ে। পরে নতুন নাম দেওয়া হলের ব্যানার ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলেন নারী শিক্ষার্থীরা।
শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের হলের নাম কী হবে সেটা আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তারা কারা? তারা নাম মুছে নতুন নামের ব্যানার টানিয়েছে, এটা নিশ্চয় তাদের পূর্ব পরিকল্পনা ছিল। তারা হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি। তাই আমরা প্রতিবাদ করেছি।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক এএফএম ফাহিম রেজা বলেন, ‘জুলাইয়ে ছাত্রদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসররা। সেটার জন্য তাদের ভেতরে কোনো অনুশোচনা নেই। তারা এদেশে আবার নিজেদেরকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। সুতরাং আমরা মনে করি এদেশে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করে শিক্ষার্থীদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে তাদের কোনো চিহ্ন এই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকতে পারে না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সারাদেশে শিক্ষার্থীদের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা এটা করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নাম পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/পিটিএম