Thursday 06 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পটুয়াখালীতে অর্থনৈতিক শুমারির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৯ | আপডেট: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০২

শুমারীর বিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে আইটি সুপারভাইজার ও গণনাকারীরা। ছবি: সারাবাংলা

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান কর্তৃক অর্থনৈতিক শুমারির বিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন আইটি সুপারভাইজার ও গণনাকারীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের জোন-১ এর আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গণনাকারী ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা, কাওসার আহম্মেদ।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম জানান, কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামানের নির্দেশে জোন-১ এর আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম সুপারভাইজার ও গণনাকারীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ও অপর গণনাকারী ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তা ১৩৬টি ইউনিটের তথ্য সংগ্রহ করেন। এর বিল বাবদ জনপ্রতি ১৫ হাজার ও প্রশিক্ষণ ফি জনপ্রতি ১৬’শ টাকা হিসাবে ৩২ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান এই বিলের টাকা সাইফুল ইসলাম ও ফাতেমা ফেরদৌসী শান্তাকে পরিশোধ না করে গোপনে নিজের ও তার শ্বশুরের বিকাশ নম্বরের মাধ্যমে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এই টাকা চাইতে গেলে তাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়।

আইটি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকের ভুয়া নাম ব্যবহার তিনি কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মহিপুরের জোনাল অফিসার হিসেবে নিজ শ্যালককে নিয়োগ দিলেও তিনি কোনো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেননি এবং নিয়োগ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো দায়িত্ব পালন না করলেও বিল, ভাতা গ্রহণ করছেন। ধানখালীতে ৬ জন সুপারভাইজার নিয়োগের নিয়ম থাকলেও একজন সুপারভাইজার দিয়ে কাজ করিয়ে বাকীদের টাকা নামে-বেনামে আত্মসাৎ করেছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সোহেল নামে একজন আইটি সুপারভাইজারকে দিয়ে সুপারভাইজার ও গণনাকারীর দায়িত্ব পালন করিয়ে বাকী বিলের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কলাপাড়া উপজেলায় ৫টি জোনের প্রতিটি জোনে একজন আইটি সুপারভাইজার, ৬-৭ জন সুপারভাইজার এবং ৪৮ গণনাকারী কাগজে কলমে নিয়োগ থাকলেও ৫০ শতাংশের কম নিয়োগ দিয়ে বাকীদের টাকা নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নুরাজ্জামান বলেন, ‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। সাইফুল ইসলামের স্ত্রীকে নিয়োগ না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসব মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছেন।’

সারাবাংলা/এমপি

অর্থনৈতিক শুমারি টাকা আত্মসাৎ

বিজ্ঞাপন

যেভাবে ফাইনালে উঠল চিটাগং কিংস
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৩

আরো

সম্পর্কিত খবর