আমির হোসেন আমুর বাসভবন ভাঙচুর
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৫
ঝালকাঠি: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঝালকাঠি শহরের বাসভবন ভাঙচুর করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের রোনালসে রোডে অবস্থিত আমুর বাড়িতে হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এর আগে সুগন্ধা নদীর তীরে ডিসি পার্কে অবস্থিত আমির হোসেন আমুর স্ত্রীর নামের প্রতিষ্ঠিত ফিরোজা আমু টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাইনবোর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ সময় পাশে থাকা ফিরোজা আমু হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের নামফলকও ভাঙচুর করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা প্রথমে ভবনের বাইরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় প্রত্যেকের হাতে হাতুড়ি ও লোহার শাবল দেখা যায়। বাড়ির দেয়াল, জানালাসহ বিভিন্ন কাঠামো হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে দেন বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে ভবনের অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ঝালকাঠির অন্যতম সমন্বয়ক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করেছিল। তাদের আমলে অবৈধভাবে এমপি মন্ত্রীরা সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। এই অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার মধ্যে ঝালকাঠির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুও রয়েছেন। তিনি জোর করে কালেক্টরেট স্কুলের জমি দখল করে নিজের ও তার স্ত্রীর নামে দুটি প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। ফ্যাসিবাদের দোসরদের সব স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর রোনালসে রোডের ওই বাড়িতে হামলা চালান। সেদিন কয়েক হাজার মানুষ বাড়িটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে এসে আগুন নেভানোর সময় পানি নিক্ষেপ করলে কয়েকটি পোড়া লাগেজ থেকে টাকার বান্ডেল বেরিয়ে আসে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা এসে ওই টাকার লাগেজগুলো উদ্ধার করেন। এর মধ্যে থেকে তারা গণনা করে একটি লাগেজে অক্ষত এক কোটি এবং অপর লাগেজগুলো থেকে গণনা করে আংশিক পোড়া ২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা উদ্ধার করেন। এ ছাড়া ডলার, ইউরোসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যমানের মুদ্রা হবে জানায় পুলিশ। সেই থেকে বাড়িটি এতদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।
সারাবাংলা/পিটিএম