‘যারা ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে তাদের কোনো ছাড় নেই’
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:২৯
ঢাকা: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক রফিকুল আলম মজনু বলেছেন, ফ্যাসিস্ট ও খুনিদের শুধুমাত্র বিএনপিতে নয়, অন্য কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে সেখানেও প্রতিরোধ করা হবে। পতিত স্বৈরশাসকের দোসররা এখন নিজেদের খোলস পাল্টানোর চেষ্টা করছেন। যারা ছাত্রজনতাকে হত্যা করেছে এবং মদদ দিয়েছে তাদের কোনো ছাড় নেই।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সদরঘাটে পার্কিং ইয়ার্ডে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপস্থাপিত ৩১ দফা সংস্কার ও জনসম্পৃক্তি শীর্ষক এ কর্মশালা আয়োজন করে কোতোয়ালি থানা বিএনপি।
কর্মশালাটি করেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি উপস্থাপন এবং বিশ্লেষন করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
মজনু বলেন, ‘‘খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে তার বাড়ি থেকে বের করেছিলেন শেখ হাসিনা। আজকে দেশের ছাত্রজনতা শেখ হাসিনার বাড়ির ইট খুলে নিয়ে গেছে। অনুশোচনা করলে আল্লাহও ক্ষমা করে দেন। কিন্তু হাজার হাজার ছাত্র হত্যা করেও শেখ হাসিনার ভেতর কোনো অনুশোচনা নেই।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ গণঅভ্যুত্থানের মধ্য আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখান করেছে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনীতিকে প্রত্যাখান করেছে, তাদেরকে বিতাড়ন করেছে। সেই আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের নামে রাজনীতি করতে পারবে না। আমরা আওয়ামী লীগের গণহত্যার এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচার দাবি করছি।’’
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ‘‘সচিবালয় থেকে শুরু করে নিন্ম স্তরে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায়ে শাসন ও ক্ষমতার পরিবর্তন আনতে হবে। নতুবা কোনো পরিবর্তনের সুফল পাওয়া যাবে না। শেখ মুজিবুর রহমান কয়েক দিনের ব্যবধানে সংবিধান পরিবর্তন করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করতে পেরেছে, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। শহিদ জিয়া দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। খালেদা জিয়া দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছেন। আর তারেক রহমান ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় দেওয়ার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’’
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, বিএনপি হামিদুর রহমা, হারুন উর রশীদ হারুন, লিটন মাহমুদ, আবদূস সাত্তার, হাজী মনির হোসেন, সাইদুর রহমান মিন্টু, ফরহাদ হোসেন, মোশাররফ হোসেন খোকন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এসআর