ছুটির দিনে বইমেলার শিশু চত্বরে ক্ষুদে পাঠকদের উচ্ছ্বাস
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১৯
ঢাকা: শুক্রবার ছুটির দিনে বাবা মায়ের হাত ধরে অমর একুশে বইমেলায় এসেছে ক্ষুদে পাঠকরা। এদিন বইমেলার ‘শিশু চত্বর’ ছোট্টো সোনামনিদের হইহুল্লোর আর আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে। শিশুরা সেখানে খেলাধুলায় মেতে উঠেছে। কেউ কেউ বইয়ের স্টলে ঘুরে ঘুরে কিনছে মজার মজার গল্প ও ভূতের বই।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণে শিশু চত্বরে ওই সব ক্ষুদে পাঠকদের আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে দেখা গেছে। তার সবাই ছিল আনন্দে উচ্ছ্বাসিত।
শিশু চত্বরে কিডস জোন নামে আলাদা কর্ণার রয়েছে। সেখানে বাচ্চারা খেলাধুলা করতে পারে। তবে এবার সিসিমপুর না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
মেলায় ঘুরতে আসা অন্তিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি প্রতিবার বই কিনতেও আসি। আবার টুকটুকি হালুমকেও দেখতে আসি, মজা করি। এবার হালুম না থাকায়, আমার মজা একটু কম হচ্ছে। আমি টুকটুকি আর হালুমকে মিস করছি।’
বই যে কতটা আবেগ ও অনুভূতির মিশেলে জ্ঞানের ভান্ডার, তা ফুটে উঠে এই শিশু বইপ্রেমীদের ভাষায়। পঞ্চম শ্রেণির উর্বার উষা সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি প্রতি বছর বইমেলায় আসি। আমার কাছে অ্যাডভেঞ্চার বই অনেক পছন্দ। আর সুকুমার রায়ের কবিতা আমার ভালো লাগে। বই পড়লে আমি অনেক কিছু শিখতে পারি, জানতে পারি। এ জন্য আমি বই কিনতেও ভালোবাসি।’
চতুর্থ শ্রেণির পড়ে কবিতা রায়, সে বলেন, ‘আমি যেসব জায়গায় ঘুড়তে যাইনি, সেইসব স্থান সম্পর্কে বই পড়ে আমি জানতে পাড়ি। আবার বই থেকেও নতুন জায়গা চিনতে পারি।’
পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই যে সন্তানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি বেশ অনুধাবন করতে পারেন অভিভাবকরাও। এ বিষয়ে কবিতা রায়ের মা সুনিতি রায় বলেন, ‘বইমেলা বছরে একবারই হয়। সেখানে নতুন নতুন বই আসে। তাছাড়াও বইমেলা আমাদের বাঙালিদের একটি সংস্কৃতি। তো এই সংস্কৃতির সঙ্গে ছোটোবেলা থেকেই যাতে ওদের পরিচিতি থাকে সে লক্ষ্যেই এই মেলায় এখন থেকেই নিয়ে আসি। পাঠ্যবইয়ের পড়া তো পড়ছেই। পাশাপাশি গল্পের বই পড়লেও তাদের জ্ঞানের ভান্ডার বিকশিত হয় বলে আমি মনে করি।’
বইমেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা গেল, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি। বেচাবিক্রিও বেশি বলে জানালো বই বিক্রেতারা। এ বিষয়ে ডাক প্রকাশনী স্টলের মৃত্তিকা বলেন, ‘আজ শুক্রবার ছুটির দিন। এ জন্য অনেক দর্শনার্থী আসছে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বইও অনেক বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য দিনের তুলনায়। আর আজ শিশুতোষ বই বিক্রি হচ্ছে বেশি। শিশুরা সাধারণত ভূতের বই, গল্পের বই পছন্দ করে। সে ধরনের বই আজ বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
এভাবেই সব বয়সী পাঠক ও দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে জমে উঠেছিল ছুটির দিনের বইমেলা প্রাঙ্গণ।
সারাবাংলা/এফএন/এইচআই