সিডনিতে ‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী ২৩ ফেব্রুয়ারি
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:০৩
ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ঐতিহাসিক ‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী ২৩ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে। সিডনির ক্যাম্পবেলটাউনের ডুমারেস্ক স্ট্রিট সিনেমায় বঙ্গজ ফিল্মস এবং বেঙ্গলি সিনে ক্লাব অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
বঙ্গজ ফিল্মস এবং বেঙ্গলি সিনে ক্লাব অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা তানিম মান্নান জানান, এই আয়োজনে কোনো প্রদর্শনী মূল্য থাকছে না। তবে আসন সংখ্যা যেহেতু সীমিত তাই উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে নাম ও আসনের সংখ্যাসহ ০৪০৬০৬৩০৫ নম্বরে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি জানান, ‘জীবন থেকে নেয়া’ আমার এবং আমাদের প্রজন্মের অনেক বাংলাদেশির কাছে ভীষণ আবেগপূর্ণ। আমরা ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতি বছর টেলিভিশন বা ভিসিআরে এটি দেখে বড় হয়েছি। ছবিটির গল্প, সংলাপ ও প্রেক্ষাপট এখনও প্রাসঙ্গিক এবং বাংলাদেশের বর্তমান চলমান পরিস্থিতির সাথেও ভীষণ সঙ্গতিপূর্ণ। সিনেমাটি আমাদেরকে নির্যাতন এবং মানবতার বিরুদ্ধে যে কোনো ষড়যন্ত্রের বিস্তার ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করে। এই আয়োজনে তানিম তার বন্ধু, লেখক ও চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেইরোর প্রতি তার গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি প্রয়াত জহির রায়হানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছিলেন। তানিম জহির রায়হানের সন্তান, অনল রায়হান ও তপু রায়হানের প্রতিও কৃতজ্ঞ, যারা স্বাগ্রহে প্রদর্শনের জন্য অনুমতি প্রদান করেছেন।
তানিম বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের জন্য একটি হাউসফুল শোয়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। এই প্রদর্শনী প্রয়াত জহির রায়হানের কালজয়ী নৈপুণ্যের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ।’
ছবিটি যত্ন সহকারে ২কে রেজোলিউশনে ও এইচডি মানের অডিও সহ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের জন্য তানিম মান্নান নিজ উদ্যোগে ইংরেজি সাবটাইটেল যোগ করেছেন। এই উদ্যোগটি অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম বা বেড়ে ওঠা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলা সিনেমার গৌরব উপস্থাপন করার ইচ্ছা থেকে পরিচালিত হয়েছে।
‘জীবন থেকে নেয়া’ হলো প্রয়াত জহির রায়হানের একটি মৌলিক কাজ, যাকে বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী পরিচালক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র যা বাংলা ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতার সংগ্রাম দ্বারা অনুপ্রাণিত। গল্পটি একজন অত্যাচারী নারীকে কেন্দ্র করে, যা শোষক শ্রেণির শাসনের প্রতীক এবং সেই শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের গল্প। এটি বাস্তব ঘটনার আলঙ্কারিক চিত্রণ দর্শকদের মুগ্ধ করে এবং আজও প্রাসঙ্গিক।
আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পাবার পর তানিম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) থেকে চলচ্চিত্রটির ডিজিটালি পুনরুদ্ধার করা কপি সংগ্রহ করে রেজর এজ স্টুডিওর কৌশিকের মাধ্যমে এটি আরও উন্নত করেন।
২০১৬ সাল থেকে এ যাবত অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশে ৫০টিরও বেশি বাংলা চলচ্চিত্র মুক্তি দিয়েছেন তানিম।
সারাবাংলা/এমএইচ/এমপি