সামাজিক বনায়নের গাছ রক্ষা করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫০ | আপডেট: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৯
ঢাকা: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সামাজিক বনায়নের সুবিধাভোগীরা গাছ বিক্রির লভ্যাংশের পরিবর্তে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।
তিনি বলেন, সামাজিক বনায়নের গাছ রক্ষা করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এ গাছ কাটা যাবে না। আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস নয়, দেশীয় গাছ লাগাতে হবে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রংপুর সার্কিট হাউজে বন অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যকর সমন্বয় জরুরি। বন ধ্বংস, দূষণ ও পানি সংকট মোকাবিলায় এককভাবে কাজ করলে হবে না। খরা, বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় জলাধার সংরক্ষণ, বন পুনঃস্থাপন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি পাথর ভাঙা রোধ ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদফতরকে নির্দেশ দেন। নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জরুরিভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশ দেন। বাধের পাশে বেশি করে দেশীয় গাছ লাগাতে ও স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করতে বলেন।
সভায় বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদফতর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের কার্যক্রম ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। তারা জানান, রংপুর অঞ্চলে বন উজাড়, শিল্প ও কৃষি দূষণ এবং পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে।
সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী এ. কে. এম. তাহমিদুল ইসলাম, বগুড়া সামাজিক বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মুহাম্মদ সুবেদার ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবর রহমান এবং পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক এ. কে. এম. রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ