Monday 31 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজস্ব আয় বাড়াতে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা
তিন অর্থবছরে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ১৮ লাখ কোটি টাকা প্রাক্কলন

সোহেল রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:০৫ | আপডেট: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৬

ঢাকা: রাজস্ব আদায় ও কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে রাজস্ব আদায়ের এক উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ লক্ষ্যে আগামী তিন অর্থবছরের সার্বিক রাজস্ব আদায়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে ২০ লাখ ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর আওতাধীন আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ লাখ ৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

অর্থ বিভাগ কর্তৃক প্রণীত এ সংক্রান্ত আগামী তিনটি অর্থবছরের পরিকল্পনা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে রাজস্ব খাত থেকে সার্বিক রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হবে ৫ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআরের আওতাধীন রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৫ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা।

এ ধারাবাহিকতায় ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে সার্বিক রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। একই অর্থবছরে এনবিআর এর লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।

এর পরবর্তী ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সার্বিক রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর থেকে আদায়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

বিগত বছরগুলোর বাজেট উপাত্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতিবছর বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যে মূল লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, সেটি অর্জন করা তো দূরের কথা, সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্জন করা সম্ভব হয় না। গত আট অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এর মধ্যে এনবিআর-এর আওতাধীন রাজস্ব ঘাটতিই সবচেয়ে বেশি।

বিজ্ঞাপন

এনবিআর-এর সাময়িক তথ্য মতে, গত অর্থবছরের মূল বাজেটে মোট রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে এনবিআর নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে এনবিআর নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে হিসাবে মূল লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব কম আদায় হয়েছে ৩৮ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা।

এদিকে গত কয়েক বছর ধরেই রাজস্ব আদায়ের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রাকে একধরণের ‘সমস্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ( আইআরডি)’। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সম্পাদিত বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ)-তে বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করতে গিয়েও এমন অভিমত পুনর্ব্যক্ত করেছে আইআরডি।

আইআরডি’র মতে, কাঙ্খিতমাত্রায় কর আদায়ে মোটা দাগে চারটি সমস্যা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- কর পরিসর সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে জরিপ কার্যক্রমে পদ্ধতিগত সমন্বয়হীনতা ও দীর্ঘসূত্রিতা; আন্তঃকর ব্যবস্থাপনায় তথ্য বিনিময়ের অপ্রতুলতা; দক্ষ জনবলের স্বল্পতা ও ভৌত অবকাঠামোসহ প্রয়োজনীয় সুবিধাদির অভাব।
অন্যদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর মতে, সংস্থাটির সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জনবল স্বল্পতা ও প্রশিক্ষিত জনবলের অপ্রতুলতা।

সারাবাংলা/আরএস

অর্থ বিভাগ এনবিআর রাজস্ব আয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর