টেনিস কোচকে বিয়ে করলেন সাফজয়ী আঁখি
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৫
সিরাজগঞ্জ: ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন সাফজয়ী আঁখি খাতুন। বিয়ে করেছেন চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবের কোচ শরিফুল ইসলাম। পছন্দের মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়ে খুশি তারা। সবার কাছে দোয়া দেয়েছেন নবদম্পতি।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে আঁখির বাবা আক্তার হোসেন বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুই পরিবারের সম্মতিতে শুক্রবার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে দ্বাবাড়িয়া এলাকায় আঁখি খাতুনের পিত্রালয়ে বিয়ের আয়োজন হয়। এ সময় বর-কনেকে দেখতে বিয়ে বাড়িতে আসেন শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
চার বছর আগে আঁখি খাতুনের খেলা দেখতে চীন থেকে দেশে আসেন শরিফুল ইসলাম। মাঠে পরিচয় হয় আঁখির সঙ্গে। ভালো লাগা থেকে শুরু হয় দুজনের প্রেম। অবশেষে ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবেক এ খেলোয়াড়।
বর মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র। তার বাড়ি রাজশাহীর রাজপাড়া এলাকায়। তিনি বর্তমানে চীনের এইজ জি এ টেনিস ক্লাবে কোচ হিসেবে কর্মরত।
আঁখি খেলছেন চায়নার স্ককর ওয়ার্ড ক্লাবে। ২০১৮ সালে টেলিভিশনের পর্দায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আঁখি খাতুনের খেলা দেখে ভালো লেগে যায় চীনের লন টেনিস কোচ শরিফুল ইসলামের। ২০২১ সালে মাঠে বসে আঁখির খেলা দেখতে চীন থেকে দেশে আসেন তিনি। এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের যোগাযোগ চলতে থাকে। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে উভয়ের মধ্যে। দুজনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিবারকে জানান। পরিবারের সম্মতিতে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।
২০২৩ সালে অনেক আলোচনা ও বিতর্কের মাঝে মায়ের অসুস্থতা কথা বলে বাফুফে ক্যাম্প ছাড়েন আঁখি। এরপর আর বাফুফে মুখো হননি তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ১৮টি ম্যাচ খেলেছেন এ ডিফেন্ডার।
সাবেক নারী ফুটবলার আঁখি খাতুন বলেন, আমার খেলার অনেক বড় ভক্ত ছিলো টিংকু। এতই ভক্ত যে চার বছর আগে সুদূর চীন থেকে আমার খেলা দেখতে মাঠে হাজির হয়েছিল। সেটাই আমাকে অনেক বেশি আকৃষ্ট করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগাযোগের পর আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে আমাদের। এখন তো আমরা জীবনের বন্ধনে জড়িয়ে গেলাম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন। তবে বিয়ের পরও পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাটাও চালিয়ে যেতে যান তিনি।
আঁখির বাবা আক্তার হোসেন, দুইজনের পছন্দের পর বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর থেকে আঁখি ও তার স্বামী শাহজাদপুরে আমার বাড়িতে অবস্থান করছে। তারা কয়েকদিনের মধ্যে চীনে চলে যাবে। আমি তাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রত্যাশা করছি।
সারাবাংলা/এসআর