Tuesday 11 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অধিকতর করণীয় চার সুপারিশ
সরবরাহ চেইনে ত্রুটির কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উচ্চ পর্যায়ে: অর্থ বিভাগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৫ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:২০

বর্তমানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের উপরে

ঢাকা: মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতির আওতায় চাহিদা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও সরবরাহ চেইনের দুর্বলতা ও কাঠামোগত ত্রুটির কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতি উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। গত ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে এটি কমে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

‘বাংলাদেশের অর্থনীতি: সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ ও তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গত জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং গত জুলাইয়ে ছিল ১১ শতাংশের বেশি।

অন্যদিকে বর্তমানে গড় মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের উপরে। গত জানুয়ারি শেষে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং গত জুনে গড় হার ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে সরকারের গৃহীত ৯টি পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সকল পদক্ষেপ সত্ত্বেও গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের উপরে রয়েছে। অথচ বাংলাদেশের প্রধান আমদানির উৎস চীন ও ভারতে মূল্যস্ফীতির হার ৪ শতাংশের কম।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে টাকার বিনিময় হার কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে আমদানিজনিত কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ার সম্ভাবনা কম।

‘সরবরাহ ব্যবস্থার কাঠামোগত ত্রুটি নিরসনে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন’ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে অধিকতর করণীয় চারটি পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- পণ্য সরবরাহ চেইনের সকল স্তরের প্রতিবন্ধকতা কঠোরভাবে প্রতিহত করা (এক্ষেত্রে ডেমন্সট্রেশন ইফেক্ট হিসেবে বিভাগীয়/জেলা পর্যায়ে আগামী এক মাসে বিশেষ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা); হিমাগারসহ সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের (চাল, পেঁয়াজ, আলু ও তেল ইত্যাদি) গুদাম নিবিড় পরিবীক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা; অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধে প্রতিযোগিতা কমিশনকে শক্তিশালী করা এবং প্রয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা; কৃষি উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় সার, বীজ ও পরামর্শ সেবা নিশ্চিত করা।

বিজ্ঞাপন

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে গৃহীত সরকারের পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে- সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও সহায়ক রাজস্বনীতি গ্রহণ; নীতি সুদের হার ধাপে ধাপে বাড়িয়ে গত ডিসেম্বরে ১০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে (গত জুলাইয়ে ছিল ৮ শতাংশ) এবং সুদহারের করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা হচ্ছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ; সকল প্রকার টাকা ছাপানো বন্ধ রাখা; কম গুরুত্বপূর্ণ ও অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প বাতিলসহ সরকারি খরচ কমানোর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা; চাল-আলু-পেঁয়াজ-ভোজ্যতেল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপর শুল্ক অব্যাহতি/কমানো; ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা শহরে ওএমএস-এর মাধ্যমে গত ডিসেম্বরে সুলভে সবজি বিক্রয় করা; দেশের ১ কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা; ট্রাকের মাধ্যমে বিভাগীয় শহরগুলোতে তেল-চিনি-ডাল বিক্রি এবং রমজানে এর সঙ্গে সরবরাহ করা হবে খেজুর ও ছোলা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর প্রতি জেলায় ১০ সদস্য বিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠন করেছে।

সারাবাংলা/আরএস

অর্থ বিভাগ মূল্যস্ফীতি

বিজ্ঞাপন

‘সড়ক দুর্ঘটনা যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:১২

৬ জেলায় বিএনপির সমাবেশ আজ
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর