Tuesday 11 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ছাত্ররা অসাধ্য সাধন করেছে, এটা রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব ছিল না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৭ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:২১

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, ছাত্র-জনতা অসাধ্য সাধন করেছে। তারা বিগত ১৫ বছরের আন্দোলনকে ৫ আগস্ট যেভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, সেটি কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোমেনবাগ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

“জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস, ছাত্র-জনতা এখন কোথায়?” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে আব্দুল মোমেন মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন

ড. মঈন খান বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের যে চরিত্র এবং ছাত্রদের যে চরিত্র সেটা কখনো এক হতে পারে না। কারণ, ছাত্রদের কোনো পিছুটান নেই। পিছুটান নেই বলেই আবু সাঈদ বুক পেতে দিয়ে বলতে পেরেছিল, আস আমার বুকে গুলি কর। কোনো রাজনীতিবিদ এটা বলতে পারে না। আমরা রাজনীতি করি। কিন্তু, আমার সংসার আছে, পরিবার আছে, ঘর-বাড়ি আছে, আমার ক্ষমতা আছে, আমার মন্ত্রিত্ব আছে, আমার এমপিগিরি আছে, আমার অনেক কিছু আছে। কাজেই যে ভূমিকা ছাত্ররা পালন করতে পারবে, সেই ভূমিকা রাজনৈতিক দলের নেতারা পালন করতে পারবে না।’’

‘‘এখানে কোনো দ্বন্দ্ব দেখি না। যার যার কাজ সে করবে। এখানে রাজনীতিকরা রাজনীতি করবে, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে, সাংবাদিকরা সাংবাদিকতা করবে, ডাক্তাররা ডাক্তারি করবেন। যার যা দায়িত্ব, সে তা পালন করবে। ডাক্তার যদি বিএনপি করতে চান, অবশ্যই তিনি করবেন। রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে করবেন। তখন তার ডাক্তারি পরিচয়টা মুখ্য হবে না, রাজনৈতিক পরিচয়টা মুখ্য হবে। আমি তো মাঝে-মধ্যে বলি, আমি বাংলাদেশের রাজনীতির পরীক্ষায় পাস করতে পারি নাই। এখনো শিক্ষক আছি’’— বলেন ড. মঈন খান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। এই সরকার রাতারাতি সব ঠিক করে দেবে, তা নয়। কিন্ত, মানুষের মধ্যে এই আস্থা তৈরি করতে হবে যে, এই সরকার রাতারাতি সব কিছু ঠিক করতে না পারলেও সরকারের যে উদ্দেশ্য সেটা সব কিছু ঠিক করার দিকেই এগোচ্ছে।’’

ড. মঈন খান বলেন, ‘‘সরকার যদি কোনো কারণ দেখিয়ে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়, তাহলে কিন্ত বাংলাদেশের সেটা মেনে নেবে না। যাই করুক, মানুষের চোখকে তারা ফাঁকি দিতে পারবে না। এ রকম আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলেই আজকে এসব প্রশ্ন উঠছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকে বলেছি, তারিখটা ছিল ১১ আগস্ট। সেদিন আমরা প্রথম বারের মতো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম। সেদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমরা বলেছিলাম, নির্বাচনের জন্য এই সরকার একটা যৌক্তিক সময় নেবে, এটাই আমরা আশা করি। এতে কোনো সমস্যা নেই। এরপর অনেকেই আমাদের প্রশ্ন করে, যৌক্তিক সময়টা কী। গতকাল এক রাষ্ট্রদূত (চীনা রাষ্ট্রদূত) আমাকে জিজ্ঞেস করেছে যৌক্তিক সময়টা কী? আমি বলেছি, আমি সেটা বলতে পারব না।’’

‘‘কিন্ত, এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষকেও যদি জিজ্ঞেস করা হয়, যৌক্তিক সময়টা কী, তারা সেটা বলতে না পারলেও, এটা ঠিকই বলতে পারবে, কোন সময়টা যৌক্তিক নয়। অর্থাৎ সোজা বাংলায়, এ সরকার যদি তাদের সময়কে দীর্ঘায়িত করে, সেটা যৌক্তিক হবে না। এটাই হচ্ছে কথা। কাজেই এই পরিস্থিতিতে আমরা বলতে চাই, যে গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ, লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল, পরবর্তীতে ৯০ এর আন্দোলন, ৯১ এর আন্দোলন, এবং সব শেষে ২০২৪ সালের আন্দোলন আমরা দেখেছি। যে আন্দোলনে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নতুন সূর্য উদ্তি হয়েছে, সেই সূর্য আমরা অস্তমিত হতে দেব না’’— বলে মঈন খান।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/ইআ

ড. মঈন খান

বিজ্ঞাপন

‘সড়ক দুর্ঘটনা যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:১২

৬ জেলায় বিএনপির সমাবেশ আজ
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর