শিশুদের পছন্দ গল্প-ছড়া, বড়দের প্রেমের উপন্যাস
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৪ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:১৪
ঢাকা: অমর একুশে বইমেলা দশম দিন। এরইমধ্যে জমে উঠেছে গ্রন্থ মেলা। বিকেল তিনটায় মেলার গেইট খোলার পর থেকেই প্রবেশ করছেন দর্শনার্থীরা। ঘুরছেন, দেখছেন বইও কিনছেন। তবে এবারের বইমেলায় শিশুদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। তারা মেলায় আসছেন এবং গল্প ও ছড়ার বই কিনছেন। অন্যদিকে বড়দের পছন্দ প্রেমের সাহিত্য-উপন্যাস।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা ঘুরে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যে সকল শিশু মোটামুটি বই বোঝে এবং পড়তে পারে, তাদের পছন্দ গল্প ও ছড়া। আর বড় পাঠক বিশেষ করে তরুণদের পছন্দ প্রেমের উপন্যাস, অনুবাদ, কেউ কেউ প্রবন্ধ খোঁজেন। তবে যেভাবে বই বিক্রির আশা করা হয়েছিল সেভাবে এখনো বিক্রি শুরু হয়নি।
মেলার প্রবেশ পথের ডান দিকে শিশুদের বই বিক্রির স্টল। সেখানে ছোট থেকে কিশোরদের পড়ার জন্যও বই পাওয়া যায়। এখনকার শিশুদের প্রিয় ‘তাকধুম’। এবার বইমেলায় তাকধুম স্টল দিয়েছে। বই কিনুক আর না কিনুক, বাচ্চারা একবারের জন্য হলেও তাকধুম ঘুরে যাচ্ছে। তাকধুমের কর্মী আফসানা সারাবাংলাকে জানান, ‘বাচ্চাদের সব ধরনেরই বই সেখানে রয়েছে। তবে তারা কেবল ছোট সোনামনিদের জন্যই বই নিয়ে আসছেন।
ফড়িং স্টলে ‘গল্পে গল্পে জ্ঞান’, ‘ভাল পরী, মন্দ পরী’, ‘গরীব দেশের আয়না’, ‘ভূত তাড়ানোর গল্প’ এমন ধরনের বই বেশ বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্টলের কর্মী জাবেদ। এবার শিশুদের জন্য খেলার পরিবেশ নিয়ে একটি স্টল রয়েছে। সেখানে শিশুরা খেলতে খেলতে শিখবে এমন উদ্দেশ্য নিয়ে আয়োজন।
বাবা মায়ের সঙ্গে বই কিনতে এসেছেন ছোট্ট রাফিন। ক্ষুদে পাঠক সারাবাংলাকে জানান, তিনি তিনটা ছড়ার বই কিনেছেন। রাফিনের বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় শ্রেনিতে পড়ে তার ছেলে। প্রতি বছরই তিনি পরিবার নিয়ে বই মেলায় আসেন এবং বাচ্চাদের জন্য বই কেনেন।
মোবাইল প্রযুক্তিতে বই পড়ার পাঠক হারাতে বসেছিল বলে যে ধারনা রয়েছে। তা মিথ্যা প্রমাণিত হলো অক্ষর প্রকাশনীতে গিয়ে। এখনো মানুষ প্রেমের উপন্যাস কিনছে। এই স্টলের এক কর্মী নবনী বলেন, ‘এবার অনেকেই প্রেমের উপন্যাস কিনেছেন আবার অনেকে পছন্দের লেখকের বই খুঁজেছেন যা আমাদের কাছে নেই।‘
ঐতিহ্যেও দেখা গেছে সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস, প্রেম, অনুবাদের বেশ পাঠক ক্রেতা। তবে এবারের বই মেলায় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে লেখা বইও অনেকে কিনেছেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতি, ধর্ম সম্পর্কিত বই বেশ বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে লেখা বই দেখা গেছে। সোমবারও এমন কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন হয়েছে।
প্রকাশক ব্যবসায়ীরা বলছেন, ১০ দিনে পড়েছে বই মেলা। এখন পর্যন্ত ওভাবে বিক্রি নেই। পাঠকরা আসেন, বই দেখেন, চলে যান।
এদিকে বই মেলার ৯ দিন পার হলেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের স্টলের কাজ করছেন এখনো। তারা বলছেন, জায়গা পেতে দেরি হওয়ায় স্টল নির্মাণে দেরি হয়ে গেছে।
সারাবাংলা/জেআর/এইচআই