ডিসেম্বরকে সামনে রেখে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:০২ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:০৯
ঢাকা: ডিসেম্বরকে সামনে রেখেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ১৮টি উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
কমিশনার বলেন, এ বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের প্রযুক্তিগত ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তাসহ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা সহযোগিতার আশ্বাস দেন দেশগুলো।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কশিমশনার বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায় তাহলে পরে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বর ২০২৫ এ ইলেকশন; আর যদি আকেটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে ২০২৬ এর জুন নাগাদ নির্বাচন করা সম্ভব।”
নির্বাচন নিয়ে কমিশনের প্রস্তুতির বিষয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “আমরা বলেছিলাম- আমাদেরকে আর্লিয়েস্ট ডেট টা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। আমাদের অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত। আমরা ডিসেম্বরকে ধরে নিয়েই আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। আমাদের ভিন্ন প্রস্তুতি নেই, একটি প্রস্তুতি (জাতীয় নির্বাচন)।”
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার বিষয়ে সরকারের অনুরোধ এলে তখন ইসি বিষয়টি সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি’র আগে সীমিত পরিসরে স্থানীয় নির্বাচন করা সম্ভব। সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগেই বৃহৎ পরিসরে স্থানীয় নির্বাচন করবে ইসি।
তবে সেক্ষেত্রে ডিসেম্বরের আগে পাঁচ স্তরের স্থানীয় নির্বাচন করতে হলে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম চ্যালেঞ্জ দেখছেন না কমিশন বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
এদিকে এ সময় ইউএনডিপির বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার বলেছেন, জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনসংক্রান্ত সহায়তার অনুরোধ জানায়। সেই অনুরোধের ভিত্তিতে জাতিসংঘের একটি মূল্যায়নকারী দল জানুয়ারিতে দুই সপ্তাহ বাংলাদেশ সফর করে। এই সফরের মাধ্যমে তারা নির্ধারণ করে, জাতিসংঘ কী ধরনের কারিগরি সহায়তা দিতে পারে।
তিনি জানান, মূল্যায়ন দলের সুপারিশের ভিত্তিতে জাতিসংঘ উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছে। সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন, ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম এবং ভোটার শিক্ষার প্রচার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্টিফান লিলার আরও বলেন, জাতিসংঘ নির্বাচন কমিশনকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করছে এবং তারা আশা করছেন, এটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা নির্বাচন। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়সূচি নির্ধারণ করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিষয়। জাতিসংঘের এতে কোনো ভূমিকা নেই বলেও জানান স্টিফেন লিলার।
এর আগে, আজ সকাল ১১টায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপিসহ ১৮টি উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনএল/ইআ
জাতীয় নির্বাচন নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অব.)