Tuesday 11 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অক্টোবরের মধ্যেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার রায়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৮ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩০

শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা গণহত্যা মামলার মধ্যে তিন থেকে চারটির বিচারের রায় আগামী অক্টোবরের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে পালিয়ে বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. আসিফ নজরুল এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা এবং এর আগে গুম-খুনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে তিন থেকে চারটির রায় অক্টোবরের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা কমন অভিযোগ হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জুলাই হত্যাকাণ্ডসংক্রান্ত যে মামলাগুলো সেই মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এ ধরনের অসন্তুষ্টির কথা অনেকে বলেন। আমরা উনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন ও ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর এরই মধ্যে এ আদালতে বিচারের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘এই আদালত পুরোপুরিভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে চার মাস আগে। এর মধ্যে আদালতে ৩০০টির বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আমাদের প্রসিকিউশন টিম যাচাই-বাছাই করে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬টি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলার মধ্যে চারটির তদন্ত কাজ এ মাসের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করি। এর পর চার্জশিট গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার কাজ শুরু হবে।’

তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী বিচারকাজ শুরু হওয়ার তিন সপ্তাহ সময় প্রস্তুতির জন্য ডিফেন্স আইনজীবীদের দিতে হয়। আমরা আশা করছি, এই তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণের যে প্রক্রিয়া, সেটা আপনারা খুব ঘন ঘন দেখবেন। এই সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়াটা শুরু হবে ঈদের পর পর, এপ্রিল মাস থেকে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অব্যাহতভাবে মামলার শুনানি হয়। এর পর মামলার রায় পরবর্তী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে হয়ে থাকে। সেই হিসাবে অক্টোবরের মধ্যে তিন-চারটি মামলার রায় পেতে যাচ্ছি বলে আশা করি।’

এ সব মামলায় ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা, শীর্ষস্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আসামি হিসেবে রয়েছেন বলে জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘যদি পুরো বিচারকার্যটা ধরি, তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের একবছরের মতো সময় লাগছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে শেখ হাসিনার আমলে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির একজন নেতার বিচার হয়। সেই বিচারকাজ শেষ করতে গড়ে কমপক্ষে আড়াই বছর লেগেছিল। এখানে আমাদের এই আদালতে অর্ধেকেরও কম সময় লাগছে।’

সময় কম লাগার কারণ তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের প্রসিকিউশন টিম, তদন্ত টিম প্রচণ্ড নিষ্ঠার সঙ্গে দিনরাত কাজ করছেন। নিয়মিত খবর রাখছি। বিচারকার্যগুলো আরেকটু তাড়াতাড়ি হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ বেশি আছে। যে কারণে আমরা আশা করছি, একবছরের মধ্যেই আমরা প্রথম কয়েকটি রায় পাব।’

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

অক্টোবর আসিফ নজরুল মামলার রায় শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর