এলএনজি কার্গো ও চাল আমদানিসহ চার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৯ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৯
ঢাকা: এলএনজি কার্গো ও চাল আমদানিসহ চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ২৩৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থ উপদেষ্টা দেশের বাইরে থাকায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে জানানো হয়, বৈঠকে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড এই কার্গো সরবরাহ করবে। প্রতি ইউনিট বা প্রতি এমএমবিটিইউ ১৬.৭৭৫ ডলার হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ৭৭৯ কোটি ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
বৈঠকে আমদানিকৃত এলএনজি কার্গোর মূল্য পরিশোধে বিলম্ব ফি প্রদানের ক্ষেত্রে দুটি সরবরাহকারী (সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড ও কাতার এনার্জি এলএনজি এস-৩) প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সংশোধনের দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত চুক্তিতে লাইবর এর পরিবর্তে এসওএফআর ব্যবহার করা হবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৈঠকে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান মেসার্স এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেড এই চাল সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন ৪৩৪.৭৭ ডলার হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে সার আমদানির দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্রতি মেট্রিক টন ২২৮.৫০ ডলার দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেসার্স জেনট্রেড এফজেডই (মূল প্রস্ততকারক: মরক্কোর ওসিপি, এসএ) থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ৮২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকনোমিক কর্পোরেশন (প্রুডিনটর্গ) থেকে ৮ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানি করা হবে। বিএডিসি এ সার আমদানি করবে। প্রতি মেট্রিক টন ২৯৪.৫০ ডলার হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এতে ব্যয় হবে ১০৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
উল্লেখিত চার প্রস্তাব ছাড়া বৈঠকে দূর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত চলমান একটি প্রকল্পের আওতায় নদী তীর সংরক্ষণ কাজে কুরুলিয়া নদীর তিনটি পয়েন্টে পূর্ত কাজের দর সংশোধনের (ভেরিয়েশন) একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত প্রস্তাবে ব্যয় ৭০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
সারাবাংলা/আরএস