Thursday 13 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সয়াবিন তেলের বোতল মজুতের অভিযোগে ২ ডিলারকে জরিমানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৬

চট্টগ্রাম নগরীর দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরবরাহ সংকটের মধ্যে সয়াবিন তেলের বোতল মজুতের হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে চট্টগ্রামে দুই পরিবেশক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। তবে পরিবেশকরা বলছেন, অধিদফতরের টিম যেসব তেলের বোতল মজুত হিসেবে চিহ্নিত করেছে, সেগুলো আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর বৃহত্তম পাইকারি ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালায় অধিদফতরের একটি টিম।

বিজ্ঞাপন

অভিযান শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল, বোতলজাত তেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল না। কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে ডিলারের কাছে। কিন্তু ডিলাররা যথাযথভাবে দোকানগুলোতে তেল সরবরাহ করছে না। থাকার পরেও তারা বলছে তেল নেই। আমরা দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমে মেসার্স আল আমিন স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠানে আমরা আমাদের একজনকে তেল আছে কিনা খোঁজ নিতে পাঠাই। তারা তখন বলেছে তেল নেই। পরে ওই প্রতিষ্ঠানে আমরা গিয়ে তেল পেয়েছি। তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

তেল নেই বললেও পরে সেখানে তেল পাওয়া গেছে

তিনি আরও বলেন, ‘‘এরপর সাতকানিয়া ষ্টোর নামে পুষ্টি তেলের এক ডিলারের কাছে গিয়ে আমরা জিজ্ঞেস করেছি তেল আছে কিনা। তারা আমাদের জানাই যে তাদের কাছে কাছে তেল নেই। পরে আমরা কোম্পানিকে কল দিলে, তারা জানাই ১ হাজার ৩০০ কার্টন, যা প্রায় ২৪ হাজার লিটার তেল উনাদের সরবরাহ করেছে। পরে তিনি স্বীকার করেন তাকে ৬০০ কার্টন তেল সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনি ৪০ কার্টন তেল সরবরাহের হিসেব আমাদের দিতে পেরেছেন। বাকিগুলোর হিসেব তিনি দিতে পারেননি। তার মানে তিনি এখানে কারচুপি করেছেন। তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’’

বিজ্ঞাপন

বাকি তেলগুলো কোথায় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সাতকানিয়া ষ্টোরের মালিক মো. আবচার বলেন, ‘আমি তো তেল বেশি দামে বিক্রি করিনি। উনারা কাগজপত্রে অনিয়ম পেয়েছে। তাই জরিমানা করেছে। আমার কাছে যে ১ হাজার ৩০০ কার্টন তেল পাঠানোর কথা বলছে কোম্পানি, আমি পেয়েছি ৬০০ কার্টন। বাকিগুলো আসবে আরও পরে। যেগুলো পেয়েছি সেগুলো বাজারে ডিস্ট্রিবিউট করে দিয়েছি। ডকুমেন্ট পাইনি এখনও। এখানে কোনো অনিয়ম আমি করিনি। স্যাররা তো ডকুমেন্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবেন না।’

আল আমিন স্টোরের মালিক মো. শাহজালাল বলেন, ‘দোকানে যেগুলো পেয়েছে সেগুলো বিক্রিত পণ্য। সেগুলো তো আমি স্টক হিসেবে দেখাতে পারব না। যার তেল তাকে কল দিয়ে স্যারদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছি। তবুও আমাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এটা যথাযথ হয়নি।’

বাজারে তেলের সংকট কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো তো কোম্পানি বলতে পারবে। আমার কাছে আসলে আমি বিক্রি করি। না আসলে বিক্রি বন্ধ রাখি। চার-পাঁচদিন হচ্ছে কোম্পানি মাল দিচ্ছে না। তাই আমার বেঁচাও বন্ধ। ওরা বলছে ওদের পাইপলাইনে এখন তেল আসছে। সেগুলো প্রসেসিং হবে। সময় লাগবে। ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারির দিকে তারা আমাদের মাল দেবে বলে জানিয়েছে।’

সারাবাংলা/আইসি/এইচআই

চট্টগ্রাম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সয়াবিন তেল

বিজ্ঞাপন

‘বসন্ত এসে গেছে’
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৮

তাপস রায়ের ‘রসিক শরৎচন্দ্র’ বইমেলায়
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৩

আরো

সম্পর্কিত খবর