‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে’
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৭ | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৯
ঢাকা: আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের ব্যাপারে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আপনারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পক্ষে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা তো আমরা পরিস্কার করে বলেছি যে, জনগণ উইল ডিসাইডেড। আমরা পক্ষ-বিপক্ষ থাকা ইমমেটেরিয়াল। পিপলস উইল ডিসাইডেড।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্রের সমস্ত নর্মস অ্যান্ড কন্ডিশনে আমরা আস্থা রাখি এবং চর্চা করি। অতীতেও চর্চা করেছি। আমরা বারবার বলে আসছি যে, ইট ইজ নট আস টু উইল ডিসাইড। কোন পার্টি নিষিদ্ধ হবে, কোন পার্টি কাজ করবে, কোন পার্টি কাজ করবে না, পিপলস উইল ডিসাইড। জনগণ নির্ধারণ করবে কোন পার্টি থাকবে কী থাকবে না, কোন পার্টি নির্বাচন করবে কী করবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক ভোটে আমরা পুরোপুরি বিরোধী, একেবারে জোরালোভাবে বিরোধী। আনুপাতিকভাবে নির্বাচনের কোনো ব্যবস্থাকে আমরা সমর্থন করব না। কারণ, এখানকার মানুষ এটাতে অভ্যস্ত না। এরকম ভোটের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠান! এটাতেও আমরা একেবারেই একমত নই। এটা তো সমস্ত রাজনৈতিক বিবেচনায় দেশকে আরও ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার একটা পরিকল্পনা ছাড়া আর কিছু না। যত দ্রুত জাতীয় নির্বাচন হবে ততই, রাজনীতি সহজ হবে, বাংলাদেশ মানুষ স্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা হওয়ার প্রধানত দুইটা কারণ। একটি হচ্ছে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসা, আরেকটা হল- গর্ভানেন্স চালু করা। এখন তো গর্ভানেন্সের খুব প্রবলেম হচ্ছে। গর্ভানেন্স চালু করলেই দেখবেন অর্থনীতি বেটার হয়ে আসছে, সমাজ এবং রাষ্ট্রে। ইউনিভার্সিটি-কলেজগুলোতে লেখাপড়া হচ্ছে না। এটাও ঠিক হবে। একটা নির্বাচিত সরকার না হলে এটাকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৫ ফেব্রুয়ারি কী হবে সেটা আমি বলতে পারব না। তবে আমাদের সঙ্গে উনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) আলোচনায় যেটা বলেছেন, সেটা তো আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই তারা নির্বাচন করার চেষ্টা করছেন।’
সারাবাংলা/এজেড/এমপি