চবি শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা সেই ছাত্রীসহ ১২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪১ | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অপরাধে আরও ১১ শিক্ষার্থীকে অস্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চবি উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চবি প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ।
স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম আফসানা এনায়েত এমি। তিনি আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
চবি প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ সারাবাংলাকে জানান, সহকারী প্রক্টর এবং সাংবাদিকদের লাঞ্ছনার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরমধ্যে সহকারী প্রক্টরের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং লাঞ্চিতের ঘটনায় ৯ জনকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ধর্ম অবমাননার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে একজনকে ২ বছরের জন্য এবং আরও একজনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের নাম পরে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও হলের সামনে কংক্রিট নির্মিত নৌকা ভাঙতে গেলে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সহকারী প্রক্টর ও ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ কুরবান আলির গায়ে হাত তুলেন শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমি।
এ ছাড়া ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া ও অন্য সাংবাদিকদের হেনস্তার মতো ঘটনাও ঘটে সেদিন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
সারাবাংলা/এমআর/এইচআই
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবি শিক্ষকের গায়ে হাত ছাত্রীসহ ১২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার