সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ মির্জা আব্বাসের
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫১ | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১৩
ঢাকা: বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরোনো সদস্যদের নবায়নের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বের পরামর্শ দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে আয়োজিত প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ পরামর্শ দেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সদস্যপদ নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমাদের সাবধান হতে হবে। ভুলে গেলে হবে না দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ির ভেতরে আটকে রাখা হয়েছিল, আমাদের মনে আছে? নাকি ভুলে গেছি সবাই? আমাদের কি এটা মনে আছে যে, ওই দিন আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়াতে পারি নাই, কেন? এই প্রশ্নটা আজকে আপনাদের সামনে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রীকে যেদিন কারাগারে নিয়ে যায়, সেদিনও কিন্তু আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। সেদিন সারা বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আমরা পারিনি। কারণ, দলের মধ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী লোক আছে। যারা নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। আমি অন্য কাউকে দোষারোপ করব না। এখানে আমার নিজের দোষও আছে।’
‘খালেদা জিয়াকে বাসায় আটকে রাখতে পারে, গ্রেফতার করতে পারে— এটাই আমার মাথায় আসেনি। বাংলাদেশের তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণীকে গ্রেফতার করবে, এটা ভাবতেও পারিনি। যদি ভাবতে পারতাম, তাহলে ৯১ সালের মতো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারতাম হয়তো। জানি এ কথা নিয়ে সমালোচনা হবে। দলের মধ্যে হবে, বাইরেও হবে। কিন্তু, সত্য কথা বলতে কোনো দ্বিধা নেই আমরা’— বলেন মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘আজকে এই কথা কেন বলছি? এই জন্যই বলছি যে, সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের ব্যাপারে আপনারা অত্যন্ত সতর্ক থাকবেন। যদি নবায়নের সময় দেখা যায়- ওই ব্যক্তি সম্পর্কে সংগঠনবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আছে, তার সদস্যপদ নবায়ন করা যাবে না। দলের বদনাম হচ্ছে— এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত আছে, এমন লোকদের সদস্যপদ নবায়ন করা যাবে না। আওয়ামী লীগের কিংবা সুযোগ সন্ধানী কিছু লোক দলের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করবেন, যারা আমাদের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না। তারা আমাদের ক্ষতিই করবে। তাদেরকেও সদস্য করা যাবে না। এতে হয়তো দলে লোকের সংখ্যা কমে যাবে। আমরা কোয়ালিটি বিশ্বাস করি, কোয়ান্টিটিতে না। হাজার হাজার লোকের দরকার নাই। আমার খুব সলিড লোককে সদস্য করব, যারা দেশকে ভালোবাসবে, দলকে ভালবাসবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসিচব হাবীব-উন-নবী-খান সোহেল, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, বাণিজ্য সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে।
সারাবাংলা/এজেড/এমপি