পাহাড়িরা ঐক্যবদ্ধ হলে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না: ঊষাতন তালুকদার
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:২৬
রাঙ্গামাটি: পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি মুছে দেওয়া ও গ্রাফিতি স্থাপনের দাবির আন্দোলনে ‘আদিবাসীদের’ ওপর হামলা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা জাতিসংঘের রিপোর্টেও উঠে এসেছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ হলে তাদের অধিকার আদায়ে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আবেদন করেছি। তবে যেটা নমুনা দেখা যাচ্ছে, এখনো যথাযথ ইতিবাচকভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি। জনগণই শক্তির মূল উৎস। জনগণই আন্দোলন করে আর পার্টি নেতৃত্ব দেয়। তবে জনগণের একটা অংশ; যারা সুবিধাবাদী দালালী করে, ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দালালি করে তারা কিন্তু আমাদের বিরোধীতা করে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্টাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন; পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বৃহত্তর আন্দোলন জোরদার করুন’ এ স্লোগানে গণসমাবেশ ও আলোচনা সভার আয়োজন করে পাহাড়ের প্রথম আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলটি।
এদিন সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বেলুন উড়িয়ে গণসমাবেশ ও আলোচনা সভার উদ্বোধন করেছেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য সাধুরাম ত্রিপুরা।
এরপর অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য গুনেন্দু বিকাশ চাকমার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা কে এস মং, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের পার্বত্য চট্টগ্রামের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি ভবতোষ দেওয়ান, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যাসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পাহাড়ের প্রথম আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) প্রতিষ্ঠা করা হয়।
সারাবাংলা/ইআ