ডিসি সম্মেলন শুরু, উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৩৮ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৫০
ঢাকা: জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসকদের নানা দিক নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি এবং এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বানও জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, পাসপোর্ট প্রদানের জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিধান বাতিল করেছে সরকার, পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিক অধিকার। এর আগে সংস্কার কমিশন নাগরিকের পাসপোর্টে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলের সুপারিশ করে।
অনুষ্ঠানে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিসিদের মুক্ত আলোচনা হবে। সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভা হবে। রাতে হবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নৈশভোজ।
সম্মেলনের সূচি অনুযায়ী, দুপুরে শুরু হবে দ্বিতীয় অধিবেশন। রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে শুরু হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে। সেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী প্রফেসর ড. এম আমিনুল ইসলাম।আরো থাকবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। এ পর্বে আলোচনা হবে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সঙ্গেও।
এর আগে, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৫’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ জানান, গত বছর জেলা প্রশাসক সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কমেছে। এ পর্যন্ত ২০২৪ সালের সম্মেলনের মাত্র ৪৬ শতাংশ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়েছে।মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, গত বছর ডিসি সম্মেলনে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি মোট ৩৮১টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ১৭৭টি সিদ্ধান্ত। বাস্তবায়নাধীন ২০৪টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৪৬ শতাংশ।
তিনি বলেছিলেন, সম্মেলনে এবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে মোট কার্য-অধিবেশন হবে ৩০টি এবং চারটি হবে বিশেষ অধিবেশন। বিশেষ অধিবেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, প্রথম উপদেষ্টার সঙ্গে একটি মুক্ত আলোচনা এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভসার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও একটি সভা হবে।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সম্মেলন শুরু হয়ে শেষ হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ