Saturday 22 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আন্দোলনে গুলি: নওফেল-রেজাউলসহ ১২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৪ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪১

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সাবেক মেয়র রেজাউল করিম। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ১২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে আদালত থেকে পাওয়া এজাহার নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলার আবেদন করেন মো. ইলিয়াছ নামে এক ব্যক্তি। তার বাড়ি নগরীর বাকলিয়ার মধ্যম চাকতাই এলাকায়।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা বাকলিয়া থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।

মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ, দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া এবং নগর ছাত্রলীগের (বর্তমানে নিষিদ্ধ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রিজান চৌধুরীকে।

মামলায় মো. ইলিয়াছ উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তিনি তার কয়েকজন বন্ধুসহ নগরীর বাকলিয়ার নতুন ব্রিজ মীর পেট্রোল পাম্পের সামনে জড়ো হন। সেখানে দুপুর থেকেই আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতারা ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা করার জন্য অবস্থান নিয়েছিল। এরপর তারা মিছিল চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ করে। এসময় দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রিজান চৌধুরী ইলিয়াছের মাথায় ধারালো কিরিচ দিয়ে কোপ দেওয়ার সময় সেটা তার বাম হাতে গিয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় তার বাম হাতের কব্জির রগ কেটে যায়।

বিজ্ঞাপন

এরপর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক। পরে সুস্থ হয়ে তিনি বাকলিয়া থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তার মামলা গ্রহণ করেনি। পরে তিনি আদালতে গিয়ে মামলার আবেদন করেন।

মামলার বাদী মো. ইলিয়াছ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি প্রথমে থানায় গিয়েছিলাম মামলা করতে। কিন্তু পুলিশ নেয়নি। পরে আদালতে গিয়ে মামলার আবেদন করি। আমি পিকআপ চালাই। কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। সেদিন আন্দোলনে মিছিল করতে আমি কয়েকজন বন্ধুসহ সেখানে গিয়েছিলাম। তারা আমার হাতের রগ কেটে দিয়েছে। সব প্রমাণ আছে।’

বাকলিয়া থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন সারাবাংলাকে জানান, মামলায় ১২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

সারাবাংলা/আইসি/এসডব্লিউ

চট্টগ্রাম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর