‘আবারও ১/১১-এর মতো বিরাজনীতিকরণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে’
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:০৮ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:৩৪
ঢাকা: আবারও ১/১১-এর মতো বিরাজনীতিকরণের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘জাতীয় সংলাপ: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চাই’ শীর্ষক এ সেমিনার আয়োজন করে স্কুল অব লিডারশিপ।
ড. মঈন খান বলেন, ‘‘১/১১-তে নির্বাচনের মধ্যে রেজিম চেঞ্জের পরিকল্পনা ছিল। আবার সেটাই যদি হয়, তাহলে আমরা আজ ‘কেমন প্রার্থী চাই’ নিয়ে যে আলোচনা করছি, সব ভেস্তে যাবে। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের মতো ২০০৮ সালের নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন ছিল।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমরা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাহলে জনগণের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। সার্বভৌমত্ব জনগণের, সরকারের নয়। যখন সরকার নির্বাচিত হয়, তখন ভাবে তারা বুঝি সার্বভৌমত্ব পেয়ে গেছে। সরকার ভুলে যায়, জনগণ একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দায়িত্ব দিয়েছে, পাঁচ বছর পর আবার জনগণের কাছে পরীক্ষা দিতে হবে। অতঃপর সরকার নিজের কৃতকর্ম ও জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে বিকল্প পথের অনুষ্ঠান করে থাকে। শেখ হাসিনার আমলে পরপর তিনটি নির্বাচন এ ধরনের বিকল্প ভাবনা থেকেই হয়েছে।’’
ড. মঈন খানা বলেন, ‘‘গণতন্ত্র জবাবদিহিতার শাসন। এখানে রাজনৈতিক নেতাদের যেমন জবাবদিহিতা আছে, তেমনি জনগণেরও জবাবদিহিতা আছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের জন্য কাজ না করলে জনগণ ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দেয়। আবার ৫০০/ ১০০০ টাকায় জনগণ যদি ভোট বিক্রি করে দেয়, তাহলে সেই জনগণকেও রাষ্ট্রের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।’’
স্কুল অব লিডারশিপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাদের গণি চৌধুরী, অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম মিথিল, অধ্যাপক ফরহাদ হাসান, পরিবেশবিদ বাপ্পী সরকার ও সাংবাদিক কাজী জেসিন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এসআর