আজহারুল ইসলামের দ্রুত মুক্তি চায় জামায়াত
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৯ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৩
খুলনা প্রেসক্লাবে প্রেসব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ
খুলনা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতার জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। এই পরিস্থিতিতে তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শহিদ হাদিস পার্কের বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল উপলক্ষ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলা জামায়াতে ইসলামী এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারিক কার্যক্রমগুলো সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক। দেশবাসী স্বৈরাচারের কবল থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তি চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের খালাস দেওয়া হয়েছে। সরকার ইচ্ছা করলে মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিতে পারেন। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান দ্রুত তাকে মুক্তি দেওয়া হোক।’
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেফতার অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অনেককে তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া হয়। দেশবাসী আশা করেছিল যে চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি মুক্তিলাভ করেননি। জামায়াত স্বৈরশাসনামলে জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর স্বৈরশাসনমুক্ত বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।’
প্রেস বিফ্রিংয়ে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, মহানগরী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, মহানগরী সহাকারী সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজি, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসাইন মিলন, বটিয়াঘাটা উপজেলা আমীর মাওলানা শেখ মো আবু ইউসুফসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান স্বাগত বক্তৃতায় বলেন, ‘২০১২ সালে এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর সাজানো মামলা ও পাতানো বিচারের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।’
সারাবাংলা/এইচআই