ঢালাওভাবে এনআইডি’র তথ্য দেবে না ইসি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪৫ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৭
ঢাকা: তথ্য ফাঁস ঠেকাতে ঢালাওভাবে আর এনআইডি’র কোনো তথ্য দেবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তথ্যের মিল থাকলে ‘হ্যাঁ’ আর না থাকলে ‘না’ জানিয়ে দেবে- বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের মহাপরিচালক এসএম হুমায়ুন কবীর।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
তথ্য ফাঁস রোধে সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা একটি টিম করে দিব। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও থাকবেন। তারা যে কোনো সময়, যে কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম যাচাই করতে পারবেন। যাতে ওই সিস্টেমের কোথাও কোনো ত্রুটি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে ব্যক্তির নাম ও জন্মতারিখ দেওয়ার পর চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এনআইডির সব ধরনের তথ্যগুলো চলে যেত। এরপর তারা যাচাই করতেন। তথ্য ফাঁস ঠেকাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, অনলাইনে নাম ও জন্ম তারিখ দেওয়ার পর ‘ম্যাচ’ অথবা ‘নো ম্যাচে’র মাধ্যমে তাদের এনআইডির তথ্য যাচাই করে দিব।’
তিনি বলেন, ‘’কেউ পাঁচটি তথ্য যাচাইয়ে আমাদের সিস্টেমে অনুরোধ পাঠাবে। এগুলোর মধ্যে আমরা কোনটি ভুল, কোনটি সঠিক, তা বলে দিব। চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সুপারিশ অনুযায়ী আমরা ব্যক্তির ছবি দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যক্তির ছবিও দেখতে পাবেন। আমরা বলেছি এটা দেওয়া সম্ভব।’’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ অভিযোগের কারণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে আমরা এনআইডি সেবা চুক্তিটি বাতিল করেছি। পরবর্তীতে জানতে পারি অনলাইনে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তি এনআইডি নিয়ে কাজ করে। আমাদের কারগরি টিম এটি খুঁজতে শুরু করে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অনুমানের ভিত্তিতে আমাদের টিম যাওয়ার পর দেখতে পায়, সেখান থেকে তথ্য ফাঁস হচ্ছে। সেগুলো আমরা বন্ধ করেছি।’
এ সময় এনআইডি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নিরাপত্তা সার্টিফিকেট নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যারাই এনআইডি সিস্টেম ব্যবহার করবে অথবা ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, ওই সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ছাড়পত্র আমরা নিব। এমনকি ওইসব প্রতিষ্ঠানে পরিচালক এবং সিস্টেম পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের ছাড়পত্র (ক্লিয়ারেন্স) আমরা নিব। কোনো ভ্যান্ডর প্রতিষ্ঠান যেন দুর্বল সিস্টেম না চালায়, সে জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পরিষ্কার তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলে দিব কোন কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা সিস্টেমে থাকতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঝুলে থাকা এনআইডি সংশোধন আবেদনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়েছে। ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
সারাবাংলা/এনএল/এইচআই