আমরা বৈষম্যহীন ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র গড়তে চাই: মামুনুল হক
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:০২
কুষ্টিয়া: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আমরা বৈষম্যহীন ইনসাফপূর্ণ একটা রাষ্ট্র ও সমাজ গঠন করতে চাই। ইসলামী ঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্রের দিকে অগ্রসর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ এবং ইসলাম এক সূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশের শত্রু যারা ইসলামের শত্রু তারা। বাংলাদেশে ইসলাম আক্রান্ত হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠে খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজিত এ গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, শাপলা চত্বর ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেম সমাজের অবদানের স্বীকৃতি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয় ৭২ সালের সংবিধানের মাধ্যমে। এভাবেই ৭১ এর চেতনার নামে বিগত ৫০ বছর পর্যন্ত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাকশালি শক্তি ৭২ এর চেতনা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছে। ২০২৪ সালে যেই ঐতিহাসিক বিজয় আমরা অর্জন করেছি, সেই বিজয়কে কাঙ্খিত লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। বৈষম্যের করব রচনা করতে হবে। সমস্ত জুলুম ও শোষণকে শেকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনেও বললেন, শেখ হাসিনা পালায় না। এই কথা বলে সে তার নেতাকর্মীদের জনগণের মুখোমুখি আরও বেশি যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিয়েছে। তারপর পালিয়ে গেছে। পালিয়ে গিয়ে নিজে এবং নিজের পরিবারের আখের গুছিয়েছে। এতো বিশাল ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বেগম জিয়া ও ড. ইউনূসকে দায়ী করবেন না। ধ্বংসের জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী হচ্ছে শেখ হাসিনা। যেই ফ্যাসিবাদ বাংলার মাটি থেকে বিতাড়িত হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদকে আর কখনো বাংলার মাটিতে পুনর্বাসিত হতে দেওয়া যাবে না।’
মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। বিগত স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ওপর জুলুম চালিয়েছে, অন্যায় চালিয়েছে। সে এই দেশটাকে স্বাধীন দেখতে চায়নি। ৭৫ সালের পর থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে, মানুষের কাছে থেকে প্রতিশোধ গ্রহণের রাজনীতি করেছেন।’
খেলাফত মজলিসের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে এ গণসমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন— দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরাফত হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালীসহ দলটির স্থানীয় ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।