মেলার ১৭তম দিনে নতুন বই এলো ১১৩টি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:১৯
ঢাকা: আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) অমর একুশে বইমেলার ১৭তম দিন। এদিন মেলায় নতুন বই এসেছে ১১৩টি। এর মধ্যে গল্পের বই ২১টি, উপন্যাস ১৪টি, প্রবন্ধ ছয়টি, কবিতা ৪১টি, গবেষণা দু’টি, ছড়া দু’টি, শিশুসাহিত্য পাঁচটি, জীবনী তিনটি, মুক্তিযুদ্ধ দু’টি, ভ্রমণ দু’টি, ইতিহাস চারটি, স্বাস্থ্য দু’টি, ধর্মীয় তিনটিসহ অন্যান্য বই রয়েছে ছয়টি।
বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপবিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘আল মাহমুদ : জীবন ও কবিতা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মজিদ মাহমুদ। আলোচনায় অংশ নেন মুসা আল হাফিজ এবং কাজী নাসির মামুন। সভাপতিত্ব করেন মাহবুব সাদিক।
প্রাবন্ধিক মজিদ মাহমুদ বলেন, ‘আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ের কবি, যখন বাঙালি তথা পূর্ববঙ্গের মানুষের আত্ম-পরিচয়ের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। একজন চারণ কবির মতো প্রেরণায় ভর করে তিনি স্বদেশ ও স্বজাতির কথা বর্ণনা করে গেছেন। কৃষকের কাছে যেমন তার ভূমি, কৃষি উৎপাদন, স্ত্রী, সন্তান, গবাদিপশু জীবনের অবিচ্ছেদ্য উপকরণ, তেমনি আল মাহমুদের কাছে তার স্বদেশ চেতনা জীবনের অপরিহার্য সহায়। তিনি কবিতায় শহর ও নগর জীবনের পার্থক্য ঘুচিয়ে দিয়েছেন। তার কাব্যভাষায় একটি জাতির হাজার বছরের ক্রিয়াভিত্তিক শব্দরাজি পরম সফলতার সঙ্গে ধরা দিয়েছে।’
আলোচকরা বলেন, কবি আল মাহমুদ তার সমকালীন বাস্তবতা, আবহমান জীবন ও ঐতিহ্য থেকেই উঠে এসেছেন। তার কবিতার প্রকৃতি, নারী, লোকায়ত জীবন, আধুনিকতা, সমসাময়িক বৈশ্বিক প্রবণতা নিজস্ব রূপে হাজির হয়েছে। মানবজীবনের পটভূমিতে তিনি প্রকৃতিকে জীবন্তরূপে তুলে ধরেছেন। তিনি শব্দের প্রচলিত অর্থকে অতিক্রম করেছেন এবং নতুন অর্থ নির্মাণ করেছেন। রাজনৈতিক চেতনা চোরাস্রোতের মতো তার কবিতায় প্রবাহিত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে মাহবুব সাদিক বলেন, ‘কবি আল মাহমুদ ছিলেন ঐতিহ্য ও ইতিহাস সচেতন আপাদমস্তক একজন কবি। তার কবিতা আমাদের স্বপ্ন দেখতে উদ্ভুদ্ধ করে। বাংলা সাহিত্যে আল মাহমুদ উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে টিকে থাকবেন।’
লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন- কবি মতিন বৈরাগী এবং কবি ফজলুল হক তুহিন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আজ ছিল ঝর্ণা আলমগীরের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী’ এবং রূপশ্রী চক্রবর্তী’র পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘শিল্প বাংলা’—এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী এ টি এম আশরাফ হোসেন, ওয়াদুদুর রহমান রাহুল, সোমা সরকার, নিপা আক্তার, সানজিদা ইয়াসমিন লাভলী, মাসুদুল হক, মো. আলী হোসাইন, মমতা দাসী এবং মোখলেসুর রহমান মিন্টু। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন আব্দুল আজিজ (তবলা), মো. বজরুল ইসলাম বিজু (কি—বোর্ড), মো. আতিকুল ইসলাম (বাঁশি) আকাশ আহমেদ কবির (বাংলা ঢোল) এবং বিশ্বজিৎ সেন (মন্দিরা)।
আগামীকাল অমর একুশে বইমেলার ১৮তম দিন। এদিন মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘জীবন ও কর্ম : শহীদ কাদরী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তারানা নূপুর। আলোচনায় অংশ েনবেন শামস আল মমীন এবং আহমাদ মাযহার। সভাপতিত্ব করবেন কবি হাসান হাফিজ।
সারাবাংলা/পিটিএম