Saturday 22 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ক্যানসার প্রতিরোধক’ রঙিন ফুলকপি চাষে ভাগ্য খুলছে কৃষকের

মাসুদ রানা, ডিস্ট্রিক্ট করসপন্ডেন্ট
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:০০ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৩:০৫

বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রঙিন ফুলকপি চাষ করছেন কৃষক আসলাম আলী। ছবি: সারাবাংলা

পাবনা: সদর উপজেলার বিল ভাদুরিয়া গ্রাম। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রঙিন ফুলকপি চাষ করছেন কৃষক আসলাম আলী। বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপিতে মাঠ ছেয়ে আছে। এমনকি পাবনা শহরের সবজির দোকানগুলোও এই ফুলকপিতে ভরপুর। খুচরা বাজারে আসলাম আলীর এই রঙিন ফুলকপি এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০টাকা।

কৃষি বিভাগ বলছে, এই রঙিন ফুলকপি ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। তাই এর প্রতি মানুষর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। ফলে সবজির দোকানগুলোও এই ফুলকপি সংগ্রহ করছে কৃষকের কাছ থেকে।

বিজ্ঞাপন

আসলাম আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতবছর আমি প্রথমে রঙিন জাতের ফুলকপি চাষ করি। এতে আমার অনেক লাভ হয়েছে। এ বছরও দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ৬ হাজারের বেশি ফুলকপি রোপণ করেছিলাম। সবগুলো ভালোভাবেই বড় হয়েছে। এখন আমি প্রতিদিন জমি থেকে ফুলকপি কেটে সরাসরি বাজারের দোকানগুলোতে পাইকারি দামে বিক্রি করি।’

খুচরা বাজারে এই রঙিন ফুলকপি এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০টাকা। ছবি: সারাবাংলা

খুচরা বাজারে এই রঙিন ফুলকপি এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০টাকা। ছবি: সারাবাংলা

তিনি বলেন, ‘আমি রঙিন ফুলকপিহুলো পাইকারিতে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। সেগুলো বাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৪০-৫০ টাকা পর্যন্ত। হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি চাষ করে ভালোই সাড়া পেয়েছি।’

এদিকে, আসলাম আলী রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভবান হওয়ায় অনেকেই এই চাষের দিকে ঝুঁকছে। কৃষি বিভাগ থেকে নিচ্ছে নানারকম পরামর্শ। আর পরামর্শ অনুযায়ী ফলনও ভালো পাচ্ছে। তাই দিন দিন এই সবজি চাষে জমির পরিমাণও বাড়ছে। এতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ সারাবাংলাকে বলেন, ‘রঙিন ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ আছে। এ ছাড়াও, এটি ক্যানসারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। খেতেও খুব সুস্বাদু। তাই বাজারেও কৃষক দাম ভালো পাচ্ছে। আমরা কৃষকদের ফুলকপির নতুন এই জাত চাষের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এমনকি আমরা সবধরনের সহযোগিতা করছি।’

বিজ্ঞাপন
১১বিঘা জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। ছবি: সারাবাংলা

১১বিঘা জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। ছবি: সারাবাংলা

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পাবনার উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এগুলো জাপানি জাতের ফুলকপি। আমাদের দেশে মাত্র তিন বছর আগে আবাদ শুরু হয়। জেলায় এ বছর ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৪০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে ফুলকপি। তার মধ্যে ১১বিঘা জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করা হয়েছে।’

রঙিন ফুলকপি চাষ করে কৃষক অনেক লাভবান হচ্ছে। কেউ এই ফুলকপি চাষে আগ্রহী হলে তাকে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/পিটিএম

ক্যানসার প্রতিরোধক চাষ রঙিন ফুলকপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর