চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন কমিটি, প্রত্যাখান একাংশের
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৪ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদ্য ঘোষিত তিন কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছে সংগঠনটির একাংশ। তিনটি কমিটি থেকে অর্ধশতাধিক সদস্য পদত্যাগ করে কমিটিগুলোকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনটির একাংশের নেতারা।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ঘোষিত কমিটি বাতিল করতে কেন্দ্রকে সড়ক অবরোধের আলটিমেটাম দিয়েছেন তারা।
এর আগে, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে আগামী ছয় মাসের জন্য চট্টগ্রাম মহানগরে ৩১৫, উত্তর জেলায় ১১২ও দক্ষিণ জেলায় ৩২৭ সদস্যবিশিষ্ট তিনটি কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। তিনটি কমিটিতে মোট ৭৫৪ জনের নাম আছে। কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল এ কমিটির অনুমোদন দেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের কমিটিতে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। ত্যাগীদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়নি। ছাত্রলীগের দোসর ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ও সদ্য ঘোষিত নগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী সিয়াম ইলাহী বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে যে তিনটি কমিটি হয়েছে সেগুলো একপাক্ষিক। ২৪’র স্পিরিটের সঙ্গে বেঈমানী করা হয়েছে। আন্দোলনে যারা ছিল তাদেরকে কমিটিতে না রেখে যারা ৫ আগস্ট পরবর্তী বিভিন্ন কর্মসূচিতে এসে জ্বালাময়ী বক্তব্য রেখেছে তাদেরকে আহ্বায়ক, সদস্যসচিব করা হয়েছে। যারা আন্দোলনে মূখ্যভূমিকা পালন করেছে তাদেরকে মাইনাস করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ কমিটিতে সনাতনীসহ অন্যান্য ধর্মালম্বীদের কোনোভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। নারী সহযোদ্ধা যারা ফ্রন্ট লাইনে ছিল তাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এর সম্পূর্ণ দায়ভার কেন্দ্রের। আমাদের যাদের এ কমিটিতে বিভিন্ন পদে রাখা হয়েছে আমরা এ কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। সে সঙ্গে আমরা ওই কমিটিগুলো থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক ও দক্ষিণ জেলার সদ্য ঘোষিত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক জুবায়েরুল আলম মানিক বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে রাসেল আহমেদ আছে। তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে জানতে পারি, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তাকে অবগত করা হয়নি। তাহলে কার সঙ্গে আলোচনা করে এরকম বিকৃত কমিটি গঠন করা হয়েছে আমরা জানতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে, জামালখান, কাজির দেউড়ি হয়ে নগরীর লালখান এসে শেষ হয়। পরে সেখানে কিছুক্ষণ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
সারাবাংলা/আইসি/ইআ