মাছ চাষ ও গবাদিপশু পালনে কৃষককে সহায়তা করতে ডিসিদের নির্দেশনা
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৯ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৯
ঢাকা: দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ ও গবাদিপশু পালনে কৃষককে সহায়তা করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আকতার। একইসঙ্গে ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণ অভিযান এবং অবৈধ জাল ও ফিশিং গিয়ারের ব্যবহার বন্ধে অভিযান জোরদার করার কথাও বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক সম্মেলনের অষ্টম অধিবেশনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনায় এ সব নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা বলেন, কারেন্ট জালসহ অবৈধ জাল ও ফিশিং গিয়ার তৈরি, বিপণন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করায় অভিযান জোরদারের বিষয়েও বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, জলাশয় পুনঃখনন, অভয়াশ্রম ও বিল নার্সারি স্থাপনে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই আমরা। ‘জাল যার জলা তার’- এ নীতি অনুসরণ করে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা যাতে সরকারি জলমহাল ইজারা পান সে ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাওর অঞ্চলে প্রজননকালে এক মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বিষয়টি নিবিড় মনিটরিং করা, সমাজভিত্তিক মৎস্য চাষে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, বিগত জুলাই-আগস্টে তালিকাভুক্ত শহিদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের সহায়তা ও জীবনমান উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দফতরকে সম্পৃক্ত করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া পতিত জলাশয়সমূহকে মাছ চাষের আওতায় আনা, হাওরাঞ্চলের মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর শাস্তির পরিমান সংশোধনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যাতে শাস্তি আরোপ করতে পারেন, সেভাবে সংশোধন করা হচ্ছে। মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর যথাযথ প্রয়োগে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিএফডিসি পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে মৎস্য অবতরণ নিশ্চিত করা এবং মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদ করণ। বিদ্যমান তালিকা থেকে অ-মৎস্যজীবীদের বাদ দিয়ে প্রকৃত জেলেদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ