রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
২১ জুন ২০১৮ ১১:৩১
।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট।।
বাগেরহাট : ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আঁকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ’ গানের শ্রষ্ঠা তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বাংলাদেশের কবিতায় অবিসস্মরণীয় এই কবির শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক’ কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।
দিনটির স্মরণে বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সকালে রুদ্র স্মৃতি সংসদ কবির গ্রামের বাড়ি মোংলার মিঠাখালীতে শোভাযাত্রা সহকারে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বাগেরহাটের মোংলা শাখা ও মোংলা প্রেসক্লাব সন্ধ্যা ৬টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কবির স্মরণে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে। স্মরণ সভা শেষে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি ও রুদ্রের গান পরিবেশিত হবে।
অকালপ্রয়াত এই কবি নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে। সাম্যবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্যচেতনা ও অসাম্প্রদায়িকবোধে উজ্জ্বল তার কবিতা। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’- এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি উচ্চারণ করেছেন অবিনাশী স্বপ্ন- ‘দিন আসবেই- দিন সমতার’। যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক’-এ। একই সঙ্গে তার কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা।
মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং কালজয়ী ভালো আছি ভালো থেকোসহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। ‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এই কবি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সারাবাংলা/এমএইচ