চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নতুন কমিটির গণপদযাত্রা
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে গণপদযাত্রা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর দুই নম্বর গেইটের বিপ্লব উদ্যান থেকে গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন, চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার সদ্য ঘোষিত কমিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেইট থেকে গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি নগরীর জিইসি, দামপাড়া হয়ে লালখানবাজার যাওয়ার পথে ওয়াসা মোড়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের আটকে দেয়।
একইসময় নগরীর লালখানবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চট্টগ্রামের নতুন তিন কমিটি বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করছিলেন সংগঠনটির একাংশের নেতাকর্মীরা।
পরে গণপদযাত্রা মিছিলটি ওয়াসা, আলমাস মোড় হয়ে বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে কাজির দেউড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল থেকে ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি- নিষিদ্ধ কর, আওয়ামী লীগের আস্তানা-জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, আওয়ামী লীগের ঠিকানা- এ বাংলায় হবে না, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’-সহ বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদ্যঘোষিত কমিটির আহবায়ক জোবায়ের হাসান বলেন, ‘আন্দোলনে আমাদের ১ হাজার ৪০০ ভাই শহিদ হয়েছে। অনেকে আহত হয়েছে। সেটা এখনও গর্ব করে বলতে পারি না। কীভাবে বলবো। এখনও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যায়নি। আহত যারা হয়েছে তাদের চোখের দিকে এখনও তাকাতে পারি না। আমাদের অসহায় লাগে। কারণ যে ফ্যাসিস্ট ও খুনিরা জুলাই-আগস্টে হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করেছে তাদের বিচার আমরা করতে পারিনি। এগুলো আমাদের ব্যর্থতা। আমরা এগুলোকে সফলতায় পরিবর্তন করতে চাই। আপনারা প্রতিটি ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন, নগর আহবায়ক রিজাউর রহমান বলেন, ‘বীর চট্টলা কখনও আপোষ করেনি। বীর চট্টলা গত বছরের ১৬ জুলাই মুরাদপুরে ছাত্রলীগের কবর রচনা করেছিল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন, চট্টগ্রামে যে নতুন কমিটি হয়েছে সেগুলো শুধু পদ নয় সেগুলো একেকটি দায়িত্ব। আমাদের শহিদের রক্তের দায় নিয়ে আমরা রাজপথে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজপথে এসেছি খুনি হাসিনা, আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিবাদ, মুজিববাদের যে রাজনীতি সেটা নিষিদ্ধের দাবি জানাতে। জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ যে বর্বর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সেটার বিচারের দাবি জানাতে। যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনারা অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করছেন, জুলাই-আগস্ট মাসের গণহত্যার বিচার করছেন আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি এ বীর চট্টলায় কবর দেওয়া দেওয়া হয়ে গেছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন, উত্তর জেলা কমিটির সদস্য সচিব ফাহিম হোসেন বলেন, ‘আজ তারুণ্যের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ তারুণ্যের জোয়ারকে একত্রিত করে সারা বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগকে মুছে দেব আমরা।’
এ সময় আরও বক্তব্য দেন নগর কমিটির মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজা, মূখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ ও মাহফুজুর রহমান।
সারাবাংলা/আইসি/এসআর
গণপদযাত্রা চট্টগ্রাম ছাত্র-আন্দোলনের নতুন কমিটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন