Friday 21 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে— বাম গণতান্ত্রিক জোট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩১ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৯

বৈঠকে জেটের নেতারা ৭ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনকে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছেন বামগণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তারা বলেছেন, কোনো শক্তির হস্তক্ষেপে নির্বাচন কমিশন যেন টলতে না পরে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে তারা এ কথা বলেন। বৈঠকে জেটের নেতারা ৭ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।

এ সময় বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ইকবাল কবির জাহিদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বাম জোটের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করা হয়। বক্তব্যে তাদের ৭ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-

১. নির্বাচনে সবার সমান সুযোগের অধিকারের কথাটি সবাই বললেও নির্বাচনকে টাকার খেলা, পেশীশক্তি, ভয়-ভীতি, সাম্প্রদায়িক প্রচার-প্রচারণা,আন্চলিকতা ও প্রশাসনিক কারসাজী মুক্ত না করতে পারলে সমসুযোগ সৃষ্টি করা যাবে না। তাই, আমরা মনে করি, নির্বাচনি জামানত ৫০০০/- টাকা, প্রচার-প্রচারণাসহ সব দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণ, বিনামূল্যে ছাপানো ভোটার তালিকা প্রত্যেক প্রার্থীকে সরবরাহ করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারলে যোগ্যতা সম্পন্ন মেহনতী ও দরিদ্র প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত হবে। যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়াতে উৎসাহিত হবে। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য ১% ভোটারের স্বাক্ষরসহ কোন শর্ত আরোপ করা উচিত নয়। এটি জনগণের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করে।

বিজ্ঞাপন

২. একইভাবে সংগঠন তৈরি করা সকল নাগরিকের একটি সাংবিধানিক অধিকার। নিবন্ধনের শর্ত এই অধিকার কেড়ে নেয়। এই নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা উচিত।রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ব্যবস্থা রাখলে তা সহজতর ও শর্তহীন করতে হবে।

৩. নিজের পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিতে বাধা প্রদান আইন করে বন্ধ করতে হবে। না ভোট ও প্রার্থী প্রত্যাহারের বিধান করতে হবে।

৪. প্রার্থীদের সকল তথ্য যাচাই-বাছাই করে জনগণের কাছে উন্মুক্ত করতে হবে। যে দলের প্রার্থী সেই দলের লিখিত ইশতেহারও জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।

৫. নির্বাচনি আচরণবিধি লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে কারো অভিযোগ দায়েরের জন্য অপেক্ষা না করে কমিশন নিজেই সুয়োমোটর ভিত্তিতে আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

৬. স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাানুপাতিক পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর কাজটি সরকার যেমন করবে, একইসাথে নির্বাচন কমিশনকেও এবিষয়ে উদ্যোগী ভূমিকা রাখা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

৭. নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ অর্ন্তর্বতীকালীন সরকারের অধীনে। তাই, নির্বাচন ব্যবস্থায় সরকার যাতে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ না করতে পারে সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছতার সাথে প্রতিটি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

বামগণতান্ত্রিক জোট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর