কুয়েটে হামলার ঘটনায় বৈবিছাআ ও শিবির জড়িত: ছাত্রদল
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:১১ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪০
ঢাকা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেছে ছাত্রদল।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে দলটি।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্রশিবির গোপনে রাজনীতি করে ক্যাম্পাসগুলোতে মব তৈরি করছে। প্রথমে ছাত্রদল নেতাদের ওপর হামলা করে তাদের ওপরই দায় চাপিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে গুপ্ত সংগঠনটি।’
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতি সহ্য করতে না পেরে গুপ্ত ছাত্রসংগঠন শিবির নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কুয়েটে হামলার ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বৈষম্যবিরোধীরা। কুয়েটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুকের নেতৃত্বে প্রথমে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার কারণেই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। পরে এলাকাবাসীও সংঘর্ষে অংশ নেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হামলার নিন্দা জানাই এবং যারা এরসঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
ছাত্রদল সভাপতি প্রশ্ন তোলেন, ‘কুয়েটে বৈষম্যবিরোধীরা কমিটি দিয়ে রাজনীতি করছে, শিবিরেরও সেখানে কমিটি আছে। তাহলে ছাত্রদল কেন কমিটি দিয়ে রাজনীতি করতে পারবে না?’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির অভিযোগ করেন, ‘প্রথমে ছাত্রদলের তিন জনকে বৈষম্যবিরোধী এবং শিবিরের লোকজন অমানবিকভাবে পিটিয়েছে। তারপরই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধী এবং শিবিরের লোকজন হামলা না করলে এমন ঘটনা ঘটতো না।’
ঘটনার তদন্তে ছাত্রদলের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন ধরে কুয়েট শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ছাত্রদলের কমিটি গঠন ও ফরম বিতরণের বিষয় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছিল। সোমবার ছাত্রদল ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সকালে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। পরে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করলে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সংঘর্ষে আহত হন বেশ কিছু শিক্ষার্থী।
সারাবাংলা/এফএন/এইচআই