গাফেলতি দেখলে বের করে দেব– পরিচ্ছন্ন কর্মীদের চসিক মেয়র
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীদের কেউ মশা মারতে গাফেলতি করলে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মেয়র এ কথা বলেন।
পরিচ্ছন্ন কর্মী ও সুপারভাইজারদের উদ্দেশে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘যেসব পরিচ্ছন্ন কর্মী মশার স্প্রে করার ক্ষেত্রে গাফিলতি করছেন, তাদের চাকরি থেকে বের করে দেব। যারা সুপারভাইজার আছেন, প্রত্যেকটা ওয়ার্ডের, আপনাদের স্পষ্টভাবে বলতে চাই- কেউ ফাঁকিবাজি করলে সেটার দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। যদি আপনারা লুকাতে চান, আমরা আলটিমেটলি খবর পেয়ে যাব। প্রতিটি এলাকায় আমাদের লোকজন আছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই- আপনারা কেউ গাফিলতি করবেন না, কেউ ফাঁকিবাজি করবেন না, কেউ কাজ না করে লুকানোর চেষ্টা করবেন না। বরং আমাদের জানান। আমরা দরকার হলে নতুন লোক দিয়ে কাজ করাব। আমি চাই কাজ হোক। কাজ হতে হবে, না হয় জনগণ দুর্ভোগে পড়বে। জনগণ দুর্ভোগে পড়লে আলটিমেটলি এটার দায়-দায়িত্ব তো স্বাভাবিকভাবে আমাদের নিতেই হবে।’
বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডভিত্তিক মনিটরিং চালুর ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ১০০ পিস ফগার মেশিন এবং ১২০ পিস স্প্রে মেশিন কিনেছি। কিছু ব্যাংক আমাদের ফগার মেশিন উপহার দিয়েছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা চলছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪০ হাজার বিন বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জনগণকে যাতে মশার কামড় খেয়ে হসপিটালে আসতে না হয় কিংবা মৃত্যুবরণ না করেন কিংবা তারা কোনো ডিস্টার্ব ফিল না করেন- এ জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’
চসিক মেয়র বলেন, ‘মশার ওষুধের ঘাটতি থাকতে পারবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মশার জীবনচক্র বদলে যাচ্ছে। প্রয়োজনে আপনারা নতুন ওষুধের সন্ধান করুন। কোনো কোম্পানি যদি ভালো ওষুধের সন্ধান দিতে পারে সেগুলো আমরা সংগ্রহ করব। এ ব্যাপারে আমরা কোনো কম্প্রোমাইজ চাই না। মশা নিয়ন্ত্রণে কিছু বিকল্পের কথা ভাবছি আমরা। মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে এমন মাছ, কীটপতঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে।’
জনসচেতনতার ওপর জোর দিয়ে মেয়র বলেন, ‘আপনারা জনসচেতনতা বৃদ্ধি করবেন। আমিও চেষ্টা করছি। নালা, ঝোপ-ঝাড় এগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডেঙ্গুর ব্যাপারে আমরা লিফলেট বিতরণ করছি, এটা আরও বাড়াতে হবে। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা জিরোতে নিয়ে আসতে হবে। বারবার বলছি, যেকোনো জায়গায় ডাবের খোসা যাতে উন্মুক্ত রাখা না হয়। বাসার দুই তিন দিনের জন্য বালতিতে পানি জমিয়ে রাখবেন না। টবের মধ্যে পানি জমিয়ে রাখবেন না।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা।
সারাবাংলা/আরডি/এইচআই