Saturday 22 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সর্বসাধারণের ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত শহিদ মিনার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:২৪ | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:১৩

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে সর্বস্তরের জনতা। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মানুষের ঢল নেমেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। দীর্ঘ সময় লাইনে অপেক্ষা করে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষ এগিয়ে আসছেন শহিদ মিনারে। ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে শহিদ মিনার, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধায় সিক্ত এই প্রাঙ্গণ।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ চিত্র দেখা গেছে।

শহিদ মিনারে শিশুদের পুষ্পার্পন। ছবি: সারাবাংলা

একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো শেষে শহিদ মিনার বেদী ত্যাগ করার পর একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর প্রধান বিচারপ্রতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ শ্রদ্ধা জানান। তারপর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম রাতেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা জানানো শেষে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২ টা থেকে প্রায় তিনটা পর্যন্ত মানুষের ঢল ছিলো শহিদ মিনারে।

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বিএনসিসি (বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর)। ছবি: সারাবাংলা

প্রথম প্রহর শেষে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই শহিদ মিনার অভিমুখে মানুষের ঢল নামে। এগিয়ে আসতে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে দেখা গেছে, কারো হাতে ফুল, কারো হ্যাতে ব্যানার। কেউবা এগিয়ে আসছেন হাঁটি হাঁটি পায়ে।

বিজ্ঞাপন

শহিদ মিনারের ঘোষণামঞ্চে বিভিন্ন সংগঠনের নাম ঘোষণার ফাঁকে ফাঁকে বেজে উঠছে, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ সেই অমর সুর।

সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনেও একুশের চেতনা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে একাধিক নিরাপত্তা চৌকি।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এনজে

একুশে ফেব্রুয়ারি শ্রদ্ধা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর