সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:২৩ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৮
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান শীর্ষ জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করেছেন। এর কিছুক্ষণ পরেই যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঙ্কচেট্টি এবং বিমান বাহিনীর উপপ্রধান জেনারেল জেমস স্লিফকে বরখাস্তের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
ট্রাম্প ঘোষণা করেন, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের জেনারেলকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন ড্যান রেজিন কেইন। মার্কিন বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, কেইন বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত এবং তিনি চার তারকা জেনারেল নন।
ব্রাউনের বরখাস্ত প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, তিনি ভদ্র ও দক্ষ নেতা হলেও নতুন নেতৃত্ব আনার প্রয়োজন রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথকে আরও পাঁচটি উচ্চ পর্যায়ের পদে নতুন নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে।
এরপর হেগসেথ এক বিবৃতিতে জানান, তিনি নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেটিকেও বরখাস্ত করেছেন। ফ্রাঞ্চেটি মার্কিন ইতিহাসে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের প্রথম নারী সদস্য ছিলেন। এছাড়া, বিমান বাহিনীর ভাইস চিফ জেনারেল জেমস স্লাইফকেও অপসারণ করা হয়েছে।
ব্রাউন, যিনি দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন, এবং ফ্রাঞ্চেটির অপসারণ প্রশাসনের সাম্প্রতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি-বিরোধী নীতির ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হেগসেথ পূর্বেও ফ্রাঞ্চেটিকে ‘ডিইআই (বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি) ভিত্তিক নিয়োগ’ বলে সমালোচনা করেছিলেন।
হেগসেথ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর শীর্ষ আইনি কর্মকর্তাদের পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন। সাবেক সামরিক বিচারক ও বিমান বাহিনীর প্রধান প্রসিকিউটর ডন ক্রিস্টেনসেন এ পদক্ষেপকে গভীর উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন সামরিক বাহিনীকে পুনর্গঠন করে যুদ্ধক্ষেত্রে কার্যকারিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন হেগসেথ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ পদক্ষেপ প্রশাসনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেরই অংশ।
সারাবাংলা/এনজে