‘ধর্ষণের বিচার হতে হবে জনসম্মুখে, যাতে হাজার ধর্ষকের বুক কাঁপে’
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৪ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪২
চট্টগ্রাম ব্যুরো : রাজশাহীগামী বাসে দুই নারীকে ধর্ষণ ও রংপুরের মিঠাপুকুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’। এতে সংগঠকরা ধর্ষকদের জনসম্মুখে প্রকাশ্যে বিচারের দাবি তুলেছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ হয়েছে।
সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক চৌধুরী সিয়াম এলাহী বলেন, ‘আমরা বর্তমান সরকারের কথা বলছি না, যে কোনো সরকার যদি ভবিষ্যতে ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে ছাত্র-জনতা ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করবে। ছাত্র-জনতাই ধর্ষককে শাস্তি দেবে। একজন ধর্ষকের শাস্তি হতে হবে জনসম্মুখে, গোপনে নয়। গোপনে বিচার করে ফাঁসি দেওয়া হয়, এটা হতে পারবে না, তার বিচার করতে হবে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে। এটা করতে পারলে একজন ধর্ষককে দেখে হাজার ধর্ষকের বুক কাঁপতে শুরু করবে।’
আরেক সংগঠক রিদওয়ান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের আমলে দেখেছি, যখনই কোনো চাঞ্চল্যকর অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, সেটা ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হত। কাউকে কাউকে গ্রেফতার করা হলেও বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের কারণে তাদের জামিন দিয়ে দেওয়া হত। অপরাধীদের মুক্তি দিয়ে দেওয়া হত। সেই যে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর প্রচলন শুরু হয়, সেটার জন্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সরকারকে বলব, অপরাধ বড় হোক আর ছোট হোক, তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। গ্রেফতার-গ্রেফতার নাটক না করে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি করুন। বিচার বিভাগকে শক্তিশালী করুন। অপরাধীদের এমন বিচার করা হোক, যাতে এদেশে আর কেউ ধর্ষণের সাহস না করে, কোনো ধরনের অপরাধ করার সাহস না করে। সাংবাদিক ভাইদের বলব, আপনারা নিউজ করেন ধর্ষিতা বোনের ছবি দিয়ে, অথচ নিউজ হওয়া দরকার ছিল ধর্ষকের ছবি দিয়ে।’
সংগঠক নীলা আফরোজ বলেন, ‘আমার নিজের নিরাপত্তা চাই, মা-বোনের, সহকর্মীর নিরাপত্তা চাই। আমরা দেশকে একটি নারীদের জন্য একটি নিরাপদ দেশ হিসেবে দেখতে চাই। আমরা সবাই মিলে নারীর জন্য একটি নিরাপদ সমাজ গড়ে তুলি।’
এদিকে ‘এন্টি রেপ ইউনিটি, চিটাগং’ নামে একটি সংগঠন ধর্ষণের বিচারের দাবিতে নগরীর চেরাগি পাহাড় মোড়ে সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
সারাবাংলা/আরডি/এমপি