পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:২২
পটুয়াখালীর: গলাচিপার রতনদী ইউনিয়নের রোদন গ্রামে জমি-জমার বিরোধের জেরে চাচার হাতে ভাতিজাকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় পাবনা জেলার সদর থানার ভাড়ারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, গলাচিপা উপজেলার গ্রামর্দ্দন গ্রামের ইসমাইল শিকদারের ছেলে কুদ্দুস শিকদার, কুদ্দুস শিকদারের স্ত্রী রেহানা বেগম, ছেলে এনামুল, মেয়ে মোছা. সুখী বেগম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার হাতে খুন হয় ভাতিজা শামিম মিয়া। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার বাবা অজেদ সিকদার ও বড় ভাই রেজাউল ইসলাম। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড রোদন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় তিনি মারা যান। নিহত শামিম পেশায় একজন অটোরিকশাচালক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কুদ্দুস সিকদার ও অজেদ সিকদারের মধ্যে বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। অজেদ সিকদার সম্প্রতি আদালতের মাধ্যমে ওই জমিতে ঘর তুলতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
কুদ্দুস সিকদার আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ঘর তোলা শুরু করলে অজেদ সিকদার থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ এসে ঘর তোলার কাজ বন্ধ করে দিলেও কুদ্দুস সিকদার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারও ঘর তুলতে গেলে বাধা দেন অজেদ সিকদার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস সিকদার ও তার ছেলে এনামুল সিকদার এবং স্ত্রী রেহেনা বেগম মাটি কাটার কোদাল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অজেদ সিকদারের ওপর হামলা চালান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে তারা অজেদ সিকদারকে মারধর করলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তার দুই ছেলে শামিম ও রেজাউল। তখন তাদেরকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে শামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান। এদিকে রেজাউল ও অজেদ সিকদারের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটুয়াখাীলী র্যাব-৮, কোম্পানি কমান্ডার ভারপ্রাপ্ত তুহিন রেজা বলেন, ‘সোর্সের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হই আসামিরা পাবনায়। পরে সিপিসি-১ ক্যাম্প আসামিদের গ্রেফতারে তৎপর হয় ও পাবনায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে র্যাব-১২ ও সিপিসি-২। সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।’
সারাবাংলা/এমপি