তেল না পেয়ে দোকানির বাসায় ভোক্তা অধিদফতরের হানা
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১১ | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বোতলের ওপর প্রকৃত মূল্য মুছে দিয়ে বাড়তি দামে সয়াবিন তেল বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এছাড়া একটি খুচরা দোকানে তেল না পেয়ে ওই দোকানির বাসায় অভিযান চালিয়ে ৬০ লিটার তেলও উদ্ধার করেন তারা।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর চেরাগী পাহাড় এলাকার বিভিন্ন খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় অধিদফতরের একটি টিম।
অভিযানে বোতলজাত সয়াবিন তেল বেশি দামে বিক্রি ও অবৈধভাবে মজুদ করার অভিযোগে দুই খুচরা ব্যবসায়ীকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে শরীফ স্টোরকে ৫০ হাজার ও স্বপন স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

এলাকার বিভিন্ন খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদফতরের একটি টিম
অভিযান শেষে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘গায়ের মূল্যের চেয়ে বেশি দামে শরীফ স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠান তেল বিক্রি করছিল। প্রথমে তারা অস্বীকার করেন। মালিক দোকানের ছেলেরা ভুল করেছে বলে আমাদের জানায়। তিনি ৩৪৫ টাকার জায়গায় ৩৮০ টাকা দা্মে তেল বিক্রি করছিলেন।’
‘তাদের দোকানে প্রথমে রুপচান্দা তেল নেই জানালেও আমরা গিয়ে ওই তেল পেয়েছি। তিনি তার দোকানের ডিসপ্লেতে তেল রাখেননি। কিন্তু দোকানের পেছনে তার প্রচুর পরিমাণ তেল আছে। তাকে ক্রয় ভাউচার দেখাতে বললে কিন্তু তিনি সেটা দেখাতে পারেননি। একটি ক্রয় ভাউচার দেখালেও সেটা মাত্র ১৭ কার্টুনের। বাকি তেলের ক্রয় ভাউচার বা হিসেব তিনি দেখাতে পারেননি।’
ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘এছাড়া তিনি অস্বাস্থ্যকর উপায়ে এখানে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করছেন। অনুমোদিত না এমন জর্দার রঙ তিনি ব্যবহার করছেন। সব মিলিয়ে তাকে আমরা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বপন স্টোরের মালিক তার কাছে তেল নেই বলে আমাদের জানিয়েছিল। আমাদের কাছে তথ্য ছিল তার কাছে তেল আছে। সেটা তাকে জানাই। তাও তিনি অস্বীকার করলেন। তিনি জানান তার বাসা বগার বিল এলাকায়। পরে পাশেই দোকান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরেই তার বাসায় অভিযান চালিয়ে আমরা ৬০ লিটার তেল খুঁজে পাই। এছাড়াও তিনি এক লিটার তেলের দাম চেয়েছেন ২০০ টাকা। কিন্তু গায়ে লেখা ১৭৫ টাকা। এসব কারণে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খুচরা দোকানদারদের কাছে তেল থাকলেও তারা কারচুপি করছেন।’
সারাবাংলা/আইসি/এসডব্লিউ