জাতীয় নির্বাচনের টার্গেট ডিসেম্বরে, তফসিল অক্টোবরে: সিইসি
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৫ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৬
ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমাদের টার্গেট ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের। সে হিসেবে আমাদের প্রায় দুই মাস হাতে সময় রেখে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইটিআই ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন ডেমোক্রেসি আরএফইডি’র নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমেদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ ইটিআই মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
আগামী জুনের মধ্যে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা সম্ভব স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের এই পর্যবেক্ষণের বিষয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সংস্কার কমিশন পরামর্শ দিয়েছে জুনে সম্ভব। সেটি সম্ভব হবে যদি ১৬ লাখ মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া না হয় এবং নতুন ৩৫ লাখ ভোটারকে বাদ দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হয়। ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ হবে আগামী জুনে।’
এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে সিইসি বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের ঠেকানোর চেষ্টা করছি। নানা ধরনের রিলিফ বা ত্রাণের আশায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছেন। কক্সবাজার এলাকায় বাড়ি বাড়ি ভোটার তালিকা করতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছি।
তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে। অনেক সময় স্বামী রোহিঙ্গা, স্ত্রী বাংলাদেশি। আবার স্ত্রী বাংলাদেশি, স্বামী রোহিঙ্গা। এমন তথ্য আমরা পাচ্ছি।
সিইসি বলেন, রাজনৈতিক এ বিষয়ে একটি রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে নির্বাচন কমিশন তাতে জড়িত হতে চায় না।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, সুন্দর ভোটের জন্য ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করা দরকার। ভোটার তালিকায় প্রায় ১৭ লাখ মৃত ভোটার। ওরাই কবর থেকে ভোট দিয়েছে। কবরবাসীও ভোট দিতো। মৃত ভোটার আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।
তিনি জানান, ভোটার তালিকা তৈরি এবং অন্যান্য প্রস্তুতি তারা নিচ্ছেন। সীমানা নির্ধারণের অনেকগুলো আবেদন ঝুলে আছে। আইনি জটিলতার কারণে তারা নিষ্পত্তি করতে পারছেন না। এই আইন সংশোধন করার জন্য তারা ইতিমধ্যে সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন। আরও কিছু বিষয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব দেবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যেসব সংস্কার দরকার বলে কমিশন মনে করে সেটুকু করার উদ্যোগ তারা নিয়েছেন।
বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “তারা মনে করছেন ডিসেম্বর আসতে আসতে এই পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে। সবার সহযোগিতা নিয়ে তারা এমন একটি জোয়ার সৃষ্টি করবেন যেখানে ভোট ছাড়া মানুষের আর কোনো চিন্তা থাকবে না।”
সারাবাংলা/এনএল/ইআ