২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি বৈবিছাআ’র

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন, চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখার ‘মিট দ্যা প্রেস’

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের চট্টগ্রামের নেতারা। অন্যথায় দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তারা।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন, চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখার ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেছেন। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির নগর কমিটির আহ্বায়ক রিজাউর রহমান।

এতে দেশজুড়ে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নির্যাতনসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। রিজাউর বলেন, ‘আমরা সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণে তিনটি সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা করেছে। এরপর প্রথমবারের মতো সংগঠনটির নেতারা মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সামনে তাদের বক্তব্য নিয়ে হাজির হন।

রিজাউর কমিটি গঠন পরবর্তী প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, ‘চট্টগ্রামে এখন থেকে সমন্বয়ক পরিচয়ে কারও কাজের দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- আন্দোলন নেবে না। কারণ নবগঠিত কমিটির মাধ্যমে সমন্বয়ক পদের বিলুপ্তি ঘটেছে। এখন থেকে কোথাও সমন্বয়ক পরিচয় ব্যবহার হলে এবং কোনো অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে রিজাউর রহমান বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা একটি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করেছে। বৈষম্য, দমন-পীড়ন ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা এ আন্দোলনে তরুণ প্রজন্ম অসাধারণ সাহস ও নেতৃত্বের গুণাবলী প্রদর্শন করেছে। দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। এরপর দেশজুড়ে তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, লুটপাট হওয়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধার, বাজার নিয়ন্ত্রণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের ভবিষ্যতের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। এসব কর্মপরিকল্পনার মধ্যে আছে- গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক সংবিধান পুনর্গঠনে সরকারকে সহযোগিতা দেওয়া, অর্থনীতি পুনর্গঠন ও লুণ্ঠিত রাষ্ট্রীয় সম্পদ উদ্ধারে সহযোগিতা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশে থাকা এবং বিচারব্যবস্থা, প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় তরুণদের রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনটির নগর কমিটির সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ, মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজা, উত্তর জেলার আহ্বায়ক ইয়াছির আরফিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক জোবাইর হোসেন।

সারাবাংলা/আরডি/এসআর

আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি চট্টগ্রাম বৈবিছাআ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাবাংলা হুশিয়ারি