দাম বৃদ্ধি বন্ধসহ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবি বিটিএমএ’র
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫২
ঢাকা: দ্রুত দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ বন্ধসহ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। একইসঙ্গে সংগঠনটি আরও তিনটি দাবি জানিয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। এসময় সংগঠনের অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
শওকত আজিজ রাসেল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি তথা রফতানি আয়ের প্রধান চালিকা শক্তি দেশের টেক্সটাইল সেক্টর দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, ডলারের সংকট, ব্যাংক সুদের হার ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের শর্তাবলী পূরণের অজুহাতে রফতানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনার অস্বাভাবিক হ্রাস পেয়েছে। টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সংকট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিটিএমএ’র সদস্য মিলগুলি তৈরি পোশাক শিল্পের মধ্যে নিট খাতের প্রয়োজনীয় সুতার প্রায় শতভাগ এবং উইভিংয়ে ৫০ শতাংশ সরবরাহ করছে। এছাড়াও বিটিএমএ এর সদস্য মিলগুলো ডেনিম, হোম টেক্সটাইল ও টেরি টাওয়ালের শতভাগ দেশীয় চাহিদা পূরণ করে রফতানি আয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতিতে টেক্সটাইল সেক্টরের অবদান অপরসীম, কিন্তু দুঃখের বিষয় এ সেক্টরটি বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে জ্বালানি সংকটের জন্য স্বাভাবিক উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। বিগত কয়েক মাস যাবত তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে মিলগুলি তাদের উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ এর বেশি ব্যবহার করতে পারছে না। ফলশ্রুতিতে সুতা ও কাপড়ের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ায় উৎপাদন খরচ প্রায় দ্বিগুন হওয়ায় প্রতিযোগী দেশগুলোর সাথে এ সেক্টরের প্রতিযোগিতার সক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করছে যার প্রভাব তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রতিফলিত হচ্ছে। টেক্সটাইল শিল্পে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের স্থানীয় বাজারও বিদেশীদের হাতে চলে যাচ্ছে।
সংগঠনটির ৩ টি দাবি হচ্ছে- সকল স্থলবন্দর বা কাস্টমস হাউজ ব্যবহার করে সুতা আমদানি বন্ধ করে শুধুমাত্র সমুদ্র বন্দর দিয়ে সকল ধরনের সুতা আমদানির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন কর্তৃক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সাম্প্রতিক উদ্যোগ অবিলম্বে বন্ধ করে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। অবিলম্বে বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশনের প্রক্রিয়া স্থগিত করা।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনজে